পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে কারা ফটকে তরুণীর বিয়ে। গতবছর নভেম্বরে এ ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো। সেই আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর দাম্পত্য জীবন কেমন চলছে-সেই খোঁজ নিলেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চ তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জিয়াউদ্দিনের আইনজীবী এডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরী।
তিনি জানান, ফেনী জেলা কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম জিয়ার সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে হয় ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর। যা ছিল ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে কোনো ভুক্তভোগীর প্রথম বিয়ে। ওই বিয়ে সারাদেশে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। কিন্তু তাদের সংসার এখন কেমন চলছে, তারা সুখে আছেন কি না, সেই বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি শুনানি চলছিলো। এ সময় অন্য একটি রিট মামলা শুনানিতে অংশ নেন ধর্ষণ মামলার সেই আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী।
তার কাছে আদালত জানতে চান, জিয়া উদ্দিন দম্পতি কেমন আছে ? তাদের সংসার কেমন চলছে? জবাবে আইনজীবী বলেন, আমি মাঝে মাঝেই ফোন করে তাদের খোঁজ খবর নিই । তারা সুখে আছেন। এসময় এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে অবহিত করে হাইকোর্ট বলেন, আমরা আদেশ দিয়ে জেলখানায় বিয়ে দিয়েছিলাম। এটা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন রকমভাবে লেখালেখি হয়েছিল। তাদের দাম্পত্য জীবনটা কেমন হয়, এটার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। কারণে এডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরীকে বলেছি সবসময় তাদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী ফারুক আলমগীর বলেন, আদালত জানতে চেয়েছিলেন জিয়া উদ্দিন দম্পতির সংসার কেমন চলছে? আমি বলেছি তারা সুখে আছেন। কারণ আমি সবসময় তাদের খোঁজ খবর নিই। এছাড়া আমি এটর্নি জেনারেলকে প্রস্তাব করেছি তাদের বাড়ি পরিদর্শনে যাওয়ার। এটর্নি জেনারেল বলেছেন, করোনা শেষে প্রয়োজনে তিনি আমাদের সঙ্গে যাবেন।
প্রসঙ্গত: গত বছরের ২১ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশের পর ফেনী জেলা কারাগারে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ে হয়। বর ও কনেসহ দুই পক্ষের উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। ওইদিন সকালে মিষ্টি নিয়ে দুই পক্ষের আত্মীয়-স্বজনসহ আইনজীবীরা কারাগারের ফটকে হাজির হন। পরে বিয়ের মূল আয়োজন সম্পন্ন করতে আসেন ফেনী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান এবং বিয়ের কাজী আবদুর রহিম। এ সময় ৬ লাখ টাকা দেনমোহর এবং ১ লাখ ওয়াশিল ধার্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় মিষ্টিমুখ করে দুই পরিবারের সদস্যরা কোলাকুলি করেন।
এর আগে গতবছর ২৭ মে ফেনী জেলার সোনাগাজীর এক তরুণী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের ছেলে জহিরুল ইসলাম জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই বছরের ২৯ মে জহিরুলকে গ্রেফতার করে সোনাগাজী মডেল থানা-পুলিশ। পরে তার পরিবার তরুণীর পরিবারের সঙ্গে আপস-মীমাংসা করেন। জহিরুল ওই তরুণীকে বিয়ে করবেন এমন কথা জানিয়ে তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত জহিরুলকে জামিন না দিয়ে কারাফটকে জহিরুল ও ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ের আয়োজন করার জন্য ফেনী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। বিয়ের পর আদালত জিয়া উদ্দিনকে এক বছরের জামিন দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।