Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এই সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে : মির্জা ফখরুল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২১, ৭:০১ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে যদি না সরানো যায়, তাহলে ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে মূল লক্ষ্য ছিল তা পুরোপুরিভাবে ধবংস হয়ে যাবে। এখন এটা সারা দেশের মানুষের দায়িত্ব, এই সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি প্রয়াত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল স্মরণ সভা হয় তিনি এসব কথ বলেন। ‘স্মৃতিতে অম্লান’ শীর্ষক এ স্মরণ সভার আয়োজন করে আবদুল আউয়াল খান ফাউন্ডেশন। গত বছরের ২০ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান আবদুল আউয়াল খান। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের দায়িত্বটা বেশি, কারণ বিএনপিকেই এর (সরকারকে সরানোর) নেতৃত্ব নিতে হবে। সেজন্য যেটা প্রয়োজন- আমাদের কখনো হতাশ হওয়া যাবে না, হতাশা ও ব্যর্থতা নিয়ে এগুনো যাবে না। আমাদের অবশ্যই আশাবাদী ও জনগণকে সংগঠিত করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। অনেক বাধা-বিপত্তি, অনেক সুবিধা-অসুবিধার মধ্যেও কাজ হচ্ছে। সেই কাজগুলোকে আমাদের একত্রিত করতে হবে।

সরকারের ‘অপরিকল্পিত লকডাউনে জনজীবন বিপন্ন’ বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারির সময়ে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে। তাদের উদাসীনতা, অযোগ্যতা, ব্যর্থতা ও দুর্নীতি আজকে দেশ এবং দেশের মানুষের জীবন বিপন্ন-জীবিকা বিপন্ন করে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে বেড নেই, অক্সিজেন নেই, আইসিইউ বেড নেই এবং ওষুধ নেই। এমন একটা অবস্থা সরকার সৃষ্টি করেছে। এর ভয়াবহতায় জনগণের জীবন আজকে বিপন্ন। করোনা হবে চিকিৎসা পাবে না, ভুল চিকিৎসা হবে, গরীব মানুষ চিকিৎসার অভাবে রাস্তায় পড়ে থাকবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকের পত্রিকাতে আছে সরকার যে ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে তার শতকরা ৮৬ শতাংশ ভুয়া। অর্থাৎ তারা যে নামগুলো দিয়েছে সেখানেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামগুলো দিয়েছে, যাতে করে তারা সেই টাকা নিয়ে নিতে পারে। এটা সর্বক্ষেত্রেই হচ্ছে। ‘তথাকথিত পার্লামেন্টে’ চিৎকার করে আওয়ামী লীগের নেতারাই বলছে- ‘আমলা এখন সব কিছু দখল করে নিয়েছে’ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমলারা দখল করে নিয়েছে, এজন্য যে তাদের দখল করতে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতি নেই, রাজনীতিবিদরা দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই সরকার কার ওপরে টিকে আছে। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নাই। আমলা এবং কিছু দুর্নীতিপরায়ন ব্যক্তিদের যোগসাজশে আজকে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে।

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিকে ধরে রেখেছি দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ধরে রাখার চেষ্টা করেছি এবং ধরে রাখতে পেরেছি। বিএনপিকে অনেকবার ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। অনেকবার ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু কখনোই ভেঙে ফেলতে পারেনি। কারণ একটাই আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে দর্শন দিয়েছেন, সেটা জনগণের অন্তুরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে। আবদুল আউয়াল খান ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক হুইপ মনিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও প্রয়াত আবদুল আউয়াল খানের ছেলে আসাদুজ্জামান খান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ