বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদী সংলগ্ন একটি নার্সারীর ভেতরে নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. খলিলুর রহমান (২০)। সোমবার সকাল দশটার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামস্থ একটি নার্সারী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কলেজছাত্র খলিলুর রহমান উপজেলার একই ইউনিয়নের গাড়ীদহ মধ্যপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় শেরপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র।
নিহতের চাচা সাইদুর রহমান জানান, রবিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হন খলিলুর রহমান। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সোমবার সকালের দিকে বাংড়া গ্রামস্থ করতোয়া নদী সংলগ্ন নার্সারীর মধ্যে কাঁদা মাটিতে মাখা একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে অন্যদের সঙ্গে তিনিও ঘটনাস্থলে যান। পরে লাশটি ভাতিজা খলিলুর রহমানের বলে সনাক্ত করেন। সেইসঙ্গে থানায় সংবাদ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
তার অভিযোগ, ভাতিজা খলিলুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহৃ নেই। তাই এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।