পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো গতকাল রোববার বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস পালিত হচ্ছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারায় পানিতে ডুবে। বাংলাদেশেও প্রতি বছর মারা যায় ১৯ হাজার মানুষ।
গতকাল রোববার গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি পরিচালিত জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংবাদ বিশ্লেষণ থেকে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধকল্পে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে যে কেউ পানিতে ডুবে যেতে পারি, সবাই মিলে প্রতিরোধ করি’। পানিতে ডুবে মৃত্যুর বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কিশোরগঞ্জ জেলায় পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমষ্টির গবেষণায় বলা হয়। ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে এ বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত ১৯ মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বৃহত্তর হাওরাঞ্চলের গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ জেলায় অন্তত ৪৩ জন পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছে সমষ্টি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদে এ সংখ্যা আরও বেশি। আর চলতি বছরের সাত মাসেই কিশোরগঞ্জ জেলায় পানিতে ডুবে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে এ বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত ১৯ মাসে কুড়িগ্রাম জেলায় অন্তত ৬৩ জন, নেত্রকোনায় ৫৪ জন, চট্টগ্রামে ৪২ জন, পটুয়াখালীতে ৩৯ জন এবং দিনাজপুর ও সিরাগঞ্জে ৩৭ জন করে মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর মধ্যে মোট ৮২ শতাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এদের ৮০ শতাংশের বয়স ৯ বছরের কম। পরিবারের সদস্যদের অসতর্কতার কারণে সিংহ ভাগ মৃত্যু ঘটছে। পানিতে ডুবে মোট মৃতদের ৮১ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পানির সংস্পর্শে যায় এবং ডুবে মারা যায়।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে অধিকতর গুরুত্বারোপ করেছে। সরকার ও দাতা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পাইলট ভিত্তিতে কয়েকটি জেলায় কিছু কিছু কাজ হচ্ছে। শিশু সুরক্ষার জন্য দেশব্যাপী এসব কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষে এ বিষয়ে ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) প্রণয়ন করা হয়েছে।
এদিকে চলতি বছর গত ২৮ এপ্রিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রথমবারের মতো পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ বিষয়ক একটি ঐতিহাসিক রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। এর ফলে জাতিসংঘ ২৫ জুলাইকে বিশ্ব পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।