Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সীতাকুন্ডে ইলিশের আশায় সাগরে মৎস্যজীবীরা

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

সাগরে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার পর চট্টগ্রাম কর্ণফুলী মহোনার স›দ্বীপ চ্যানেলের উত্তর চট্টলা সীতাকুন্ড উপজেলাসহ প্রায় ৫২ হাজার মৎস্যজীবী পরিবার সাগরে রূপালি ইলিশ শিকারে গতকাল শনিবার সাগরে নামছে বলে জানিয়েছেন উত্তর চট্টলা উপক‚লীয় জলদাশ কল্যাণ সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি শ্রী লিটন দাশ।

তিনি বলেন, ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তাই মৎস্যজীবী পরিবারগুলো ভোর ৫টা থেকেই গভীর সমুদ্রে রওনা হয়েছি। এসময় উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যজীবী পরিবারের মাঝে এখন আনন্দের জোয়ার বইছে। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ইলিশ ধরা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ছিল। এসময় মা ইলিশগুলো মিঠা পানিতে ডিম দেয়ার উদ্দেশ্যে আসে। তাই ৬৫ দিন অপেক্ষা করার পর অনেক স্বপ্নের রূপালি ইলিশ শিকার করতে পারবো আমরা। তাই এখানকার মৎস্যজীবী পরিবারের সকল সদস্যরা মাছ শিকারে রাত জেগে জাল মেরামতসহ নানা রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছেন। তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী মহোনার স›দ্বীপ চ্যানেলের উত্তর চট্টলা উপক‚লীয় ও সীতাকুন্ড ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত ৩৮টি জেলে পল্লীর প্রায় ৫২ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের বসবাস। এরমধ্যে সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার। উপজেলার সাগরের তীরবর্তীতে থাকা আদী পেশাজীবী মৎস্যজীবী মানুষগুলো যুগ যুগ ধরে মাছ তথা আমিষের যোগান দিয়ে চলেছেন। হঠ্যৎ বৃষ্টি আবার হঠাৎ জলোচ্ছাসের কারণে জেলে সম্প্রদায়ের মানুষগুলো প্রায় সময় জীবন বিপন্ন হয়ে পড়লেও তারা জীবন বাজি রেখে আমিষ যোগানে তারা গভীর সাগরে মাছ শিকারে নামেন।
এদিকে, চট্টলা উপকূলীয় জলদাশ কল্যাণ সমবায় ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল দাশ বলেন, যে সময়ে সাগরে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সে সময় ইলিশ শিকারে একেবারে ভরা মৌসুম। এ অবস্থায় দক্ষিণ শীতলপুরের নারায়ন জলদাশ ও যদু জলদাশ তারা মাছধরা বন্ধের সময় ঠিক মতে খেতেও পারেনি। প্রায় সময় উপষ ছিল তারা। এধরণের অনেকের ঠিকমতে আহার জোটেনি। জুন-জুলাই-আগস্ট এ তিন মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। আর বছরের বাকি দিনগুলো সাগরে তেমন মাছ পাওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়টিতে ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও সাগরে নামতে পারেনি মৎস্যজীবী সম্প্রদায়।
এবিষয়ে চট্টলা উপকূলীয় জলদাশ কল্যাণ সমবায় ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাঁশবাড়িয়া বোয়ালীয়াকূল এলাকার বাসিন্দা জেলে নেতা উপেন্দ্র দাশ বলেন, ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞার পর আমরা গতকাল ২৪ জুলাই থেকেই সাগরে ইলিশ শিকারে ভোর ৫টায় ও দুপুর ১টায় মধ্যে গভীর সমুদ্রে রওনা করেছি। তবে এখন সাগরে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছেনা। বর্তমানে প্রতিটি বোটে মাছ পাওয়া যাচ্ছে ১০/২২ কেজি। কিন্তু আগে প্রতিটি বোটে মাছ পাওয়া যেত ৫০/৬০ কেজি পর্যন্ত। মৎস্যজীবী পরিবারগুলো এতো দিন অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করেছি এবং ঋণ করতে হয়েছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আবারো আগের মত ইলিশ শিকার করতে পারবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাগরে মৎস্যজীবীরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ