রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাবনা জেলা সংবাদদাতা
পাবনার সাঁথিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর যোগসাজশে গোপনে সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৭০টি ফলজ ও বনজ গাছ পানির দরে বিক্রি হওয়ায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নে। সূত্র মতে, সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মনজুর এলাহী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজ ক্ষমতার দাপটে ইউনিয়নের চন্ডীপুর পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাইক হতে মেহেদীনগর হয়ে কাবারীকোলা পর্যন্ত পাকা রাস্তার দু’ধারে বড় বড় মেহগনি, কড়ই, আম, কাঁঠাল, ইউকিলিপটাসহ প্রায় ১৭০টি বনজ ও ফলজ গাছ কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম শহিদের যোগসাজেশে কলাগাছি গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী রেজাউলের কাছে মাত্র ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় গাছগুলো বিক্রয় করা হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের ধারণা ১৭০টি গাছের আনুমানিক মূল্য হবে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তার দু’ধারে কিছু গাছ এর আগেও তারা বিক্রি করেছিলেন। যা থেকে সুফলভোগীদের কোন অর্থ দেয়া হয়নি। চন্ডিপুর কাবারীকোলা সড়কে সাংবাদিকরা গিয়ে দেখতে পান কাঠ ব্যবসায়ীর লোকজন গাছ কাটছে। চন্ডীপুর গ্রামের রাস্তার পাশের জমির মালিক সুফলভোগী মুক্তার হোসেন (৬০), আবেদ আলীর (৬৫), মোকসেদ আলী (৫৮), মাজেদা খাতুন (৫০)সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। শুধু গ্রাম পুলিশ এসে বলে গেছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার সড়কের সব গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। কেউ জানে না কবে গাছ বিক্রি হয়েছে এবং তা কত টাকা? মোকসেদ আলী আরো জানান, তার ঘরের পাশে বড় একটি ইউক্যালপ্টাস গাছ মেম্বার কেটে নিলে টাকা চাইলে উল্টা তাকে গালমন্দ শুনতে হয়েছে। মাজেদা খাতুন জানান, এর আগেও আমার সীমানা থেকে চেয়ারম্যান গাছ কেটে নিয়েছে। এবারও তার লাগানো আম গাছ কাটার জন্য চিহ্ন দিয়ে গেছেন। এই বিচার কার কাছ দেবো। নিয়মানুযায়ী সরকারি গাছ বিক্রি করতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এলজিইডি, রাস্তার পাশের জমির মালিক সুফলভোগী ও ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। গাছ বিক্রির টাকা সংশ্লিষ্ট ইউপি, সুফলভোগী ও তদারকি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বণ্টনের নিয়ম থাকলেও চেয়ারম্যান অস্তিত্বহীন এনজিও কেয়ার ও সুফল ভোগীদের না জানিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে সাঁথিয়া এলজিইডি অফিস সূত্র জানান, দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলায় এনজিও কেয়ারের বাংলাদেশে কোন কার্যক্রম নেই। এ বিষয়ে কাশিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যার মীর মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাঁথিয়ার ইউএনও, এনজিও কেয়ার, জমির মালিকদের যৌথ স্বাক্ষরে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। কমদামে গাছ বিক্রি বিষয়ে বলেন, বিক্রির আগে কেউ নেয়নি, এখন হয়তো বেশী দাম বলতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।