Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উচ্ছেদ আতংকে অর্ধশত সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

ব্যাবসায়ীরা মানলেও মালিক পক্ষ মানছে না মেয়রের সিদ্ধান্ত

প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা
উচ্ছেদ আতংকে ভূগছে বনরূপা ফারুক মার্কেটের অর্ধশত সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়রের বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত না আশায় যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিন আগে মালিক পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাঙ্গামাটি পৌরসভায় প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী বৈঠকে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়ে যাওয়ায় আরো বেশী হতাশায় ডুবে আছে এই মার্কেটের ভবিষ্যত। এব্যাপারে সাধারণ ব্যবাসায়ীরা জানান, ফারুক মার্কেটের মালিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন আগে রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। কিন্তু বৈঠকে মেয়র মহোদয়ের সকল সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীরা মেনে নিলেও মালিক পক্ষ কোন সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি। তাই উভয় পক্ষের মাঝে সমঝোতা না হওয়ায় মেয়র হতাশা প্রকাশ করেন। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী বৈঠকে সমঝোতা কোন পর্যায়ে না আশায় আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। প্রতিদিন সকালে এসে দোকান এলোমেলো দেখতে পাই। রাতের অন্ধকারে মালিক পক্ষের লোকজন এসে আমাদের মালামাল তছনছ করে রেখে দিচ্ছে। এমন অনেক মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা কি করবো আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। এব্যাপারে ফারুক মার্কেট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ হারুনের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে আছি। মার্কেটের মালিক অন্যের প্ররোচনায় আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। পৌরসভার বৈঠকে রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র তাকে বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ জানালেও তিনি কোন কিছুতেই রাজি না। তার এ কথা এই ব্যবসায়ীরা সকলেই অবৈধ ভাবে আছে। এই মার্কেটে কোন সমিতি নেই। এই মার্কেটে সমিতি আছে কি নাই তা শাহনেওয়াজ চৌধুরী ফারুক ভালো জানেন। আমাদের মার্কেটের ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসাবে কিছু কিছু সঞ্চয় করার জন্যই আমরা এই সমিতি গঠন করেছি। এই সমিতির সভাপতি হিসাবে শাহনেওয়াজ চৌধুরী ফারুক দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে ছিলেন। সমিতির বিশাল অর্থ দেখে তিনি এই সমিতির টাকা অন্য ব্যবসা করতে চাইলে আমরা বাধা দেয়ায় সমিতির সাথে তার বিরোধ সৃস্টি হয় এবং তাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর ধরে আমাদের এই সমিতি চলমান রয়েছে। তিনি কিভাবে বলেই এই খানে সমিতি নেই। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে নানা সংবাদপত্রে অভিযোগ করেছেন আমরা শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করেছি। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। মারিক পক্ষের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দা বা রড নিয়ে আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা আসি নাই। মালিকের কয়েকজন চামচা আছে তারাই দা, রড ও কিরিচ নিয়ে ব্যবসায়ীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। এখানে বাইরের কোন লোক ঝগড়া করতে আসেনি। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে প্যানেল মেয়র ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার মোঃ জামাল উদ্দিন ও বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইকবাল সাহেব এখানে ঘটনার মিমাংসার জন্য এসেছেন। কিন্তু আমাদের সংবাদদাতারা মনে হয় তাদের পরিচয় জানেন না তাই সংবাদে তাদেরকে সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলেছে। এই ব্যাপারে শাহনেওয়াজ ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়র এক তরফা ভাবে বিচার করছে এই বিচার মানার কোন প্রশ্নই আসে আসেন। তিনি আমার পক্ষে কোন কথাই বলেনি। শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছে তাই কোন ভাবেই এই রায় মেনে নেয়া যায় না। এই ব্যাপারে রাঙ্গামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র বলেন, পৌরসভায় বৈঠকে ফারুক মার্কেটের মালিক শাহনেওয়াজ ফারুক ভাই কারো কথা শুনতে রাজি না। তিনি এক তরফা কথা বলেন। তিনি আবেদন করেছেন সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা ব্যবসায়ীদের অনেক বুঝিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিন্ত তিনি কোন সিদ্ধান্তই মানতে রাজি না। এছাড়া আমরা মার্কেটে গেছি অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য কিন্তু তিনি সম্মানিত সংবাদকর্মীদেরকে বুঝিয়েছে আমরা নাকি তার মার্কেট দখল করতে গেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্ছেদ আতংকে অর্ধশত সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ