Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাগরে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

সমুদ্রে মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত মধ্যরাতে উঠে গেল। ৬৫ দিনের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে গত কয়েক বছরে আমাদের মৎস্য সম্পদে লক্ষাধিক টন মাছ যোগ হয়েছে বলে মৎস্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে।

উপক‚লের জেলে ও মৎস্যজীবীরা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে ভালোভাবে না নিলেও মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থেই তা করা হচ্ছে বলে মৎস্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে উপক‚লের প্রায় ৩ লাখ জেলে পরিবারকে দু’দফায় মাথাপিছু ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল বিভাগের ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩টি জেলে পরিবার ১২ হাজার ৬১৮ টন খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন।

নিষিদ্ধকালীন সময়ে ৪৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মৎস্য অধিদফতর নিজস্ব ব্যবস্থায় আরো বিপুল সংখ্যক অভিযান পরিচালনা করে ৬০টি বিভিন্ন ধরনের মাছধরা ট্রলার এবং ২০ লাখ মিটার জাল আটক করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ৩.৩২ টন মাছ আটক করে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এসময়ে প্রায় ৪৫টি মামলা দায়ের ও ১৫ লাখ টাকার মত জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১৮ জন জেলে ও মৎস্যজীবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডও দেয়া হয়েছে। এসময় বাজেয়াপ্তকৃত জাল, ট্রলার ও মাছের নিলাম থেকে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

জেলে ও মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, বাংলদেশের সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও এসময়ে ভারতে নিষিদ্ধ না থাকায় সে দেশের জেলেরা অবাধে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে মাছ লুটে নিচ্ছে। মৎস্য বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের সাথে মিল রেখে সাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণার কথা বলেছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমারেও জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

মৎস্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (সামুদ্রিক) ড. মো. আবুল হাসনাত বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখা সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের কার্যকরি ব্যবস্থাপনার একটি সহজ ও অত্যন্ত ফলদায়ক পদ্ধতি। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। বর্তমানে জাতীসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (ফাও) কর্মরত ড. হাসনাত সমুদ্রে আহরণ নিষেধাজ্ঞার সময়কাল প্রতিবেশী দেশের সাথে সমন্বয় করে নির্ধারণের কথাও বলেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ