Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রথমবারের মতো তিব্বত সফরে শি জিনপিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

প্রথমবারের মতো তিব্বতে সফর করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এটিই ছিল দেশটির শীর্ষ কোনো নেতার তিব্বত ভ্রমণ। গতকাল চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গত বুধবার তিব্বতের দক্ষিণ-পূর্বে নিয়াংঝি মেইনলিং বিমানবন্দরে পৌঁছান শি জিনপিং। সিসিটিভির প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শি জিনপিং তিব্বতে পৌঁছানোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন অনেকে। তারা তিব্বতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন। এ সময় তাদের চীনের পতাকা ওড়াতে দেখা যায়। এরপর তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা জানানো হয়। পরে শি জিনপিং ইয়াং সেতু পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে তিনি ইয়ারলুং সাংপো ও ইয়ান নদীবাহিত এলাকার পরিবেশ সুরক্ষা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। নিয়াংঝি শহরের উন্নয়নসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় খতিয়ে দেখতে নিয়াংঝি সিটি প্ল্যানিং মিউজিয়ামসহ নানা এলাকা পরিদর্শন করেন শি জিনপিং। বৃহস্পতিবার তিনি নিয়াংঝি রেলস্টেশনে যান। সেখানে তিনি সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ট্রেনে করে রাজধানী লাসার উদ্দেশে রওনা দেন।

শি জিনপিং এর আগেও তিব্বত সফরে গেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নন। ১৯৯৮ সালে প্রথম তিনি ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে দলের প্রধান হিসেবে তিব্বত যান। পরে ২০১১ সালে সফর করেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চীনের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন তিব্বতে যান। তিব্বত চীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। যদিও অনেকেই তিব্বতিদের চীনের অংশ মানতে রাজি নয়। এ কারণেই ১৯৬৯ সালে তিব্বতিরা দালাই লামার নেতৃত্বে চীনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার আন্দোলন গড়ে তোলে, যা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তিব্বতে জনরোষ সামাল দিতে সেখানে বিভিন্ন উন্নয়নকাজে হাত দেয় চীন। তবে দেশটির নির্বাসনে যাওয়া অনেক বাসিন্দার অভিযোগ, এই অঞ্চলে চীন সরকার ধর্মীয় দমন-পীড়ন চালাচ্ছে এবং হাজার বছরের সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

২০০৮ সাল থেকে তিব্বতের উন্নয়নে ব্যাপক অর্থ ঢালে চীন। এর জের ধরে তিব্বত চীনের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায় চলে আসে বলে স্থানীয়ভাবে করা বিভিন্ন পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়। চীনের অর্থে এই উন্নয়নের প্রভাবে স্থানীয় সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এমন অভিযোগে ২০০৮ সালে বিক্ষোভ করেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা। এ ছাড়া গত কয়েক দশকে চীনা শাসনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ হয়েছে তিব্বতে। এসব বিক্ষোভে হতাহত হয় বহু মানুষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শি জিনপিং


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ