পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদ উল-আযহার পশু কোরবানির গোস্ত কাটার সময়, গরুর লাথি খেয়ে ও ঈদের দিন বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোর সময় দুর্ঘটনায় গত দুই দিনে ৩৭৬ জন আহত হয়েছে। তাদের ঢামেক হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) অথবা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১২৫ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্যরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে। বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে সরেজমিন ঘুরে এসব তথ্য জানান গেছে।
এছাড়া ঈদে হাসপাতালে হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের রেজিষ্টারের মাধ্যমে জানা যায় দুই দিনে ১১৬ জন সখেরবশত গরু কাটতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে অনেকেই গুরতর অবস্থায় ভর্তি আছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা পর বাসায় চলে গেছেন। যেমন, কামরাঙ্গীরচর আলীরঘাট এলাকায় থেকে হাসানুজ্জামান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি সখেরবশত গরু কাটতে গিয়ে তার বামহাতে ছুরির আঘাত লেগে হাতের রগকেটে যায়। তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পূর্ব জুরাইন এলাকায় থেকে আহতাবস্থায় শামীম আহমেদ (৩৫) নামে একজন ঢামেক হাসপাতালে আসেন।
তিনি জানান, ঈদের দিন কোরবানি দেওয়ার জন্য গরুটিকে দড়ি দিয়ে বাধার সময় গরুর লাথির আঘাতে আহত হই। এই রকম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আলাউদ্দিন এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই হাসপাতালে দুই দিনে প্রায় ১১৬ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আবার অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর ঈদের সময় এই ধরনে দুর্ঘটনা গুলো ঘটে। এদিকে পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পা ভেঙে আশুলিয়া থেকে রফিকুল ইসলাম (৩৩)। ঈদে বন্ধুদের সঙ্গে বাইক নিয়ে বের হয়ে
অন্য বাইককে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। রফিকুলকে রগের পরীক্ষা করার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রিপোর্টে দেখা গেছে পায়ের রগ কেটে গেছে। তার পা রাখার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
রফিকুলের বাবা আমিনুল বলেন, ছেলেকে বলেছিলাম ঈদের দিন বাইক নিয়ে বের হওয়ার দরকার নেই। বাইক নিয়ে বের হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর আসে। গাজীপুর থেকে মিলন হোসেন (২৫) বাইক চালানোর সময় ও পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটে। তার দুই পায়ের ওপর দিয়ে পিকআপ ভ্যানের চাকা চলে যায়। ঈদে আনন্দ উল্লাসের কারনে ঈদে দিন থেকেই কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে হাতের রগ কাটা নিয়ে অনেকে এসেছেন হাসপাতালে। পল্লবী থেকে পঙ্গুতে এসেছেন কবির হোসেন (৩৪)। কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে হাতে ছুরি চালিয়ে দিয়েছে হুজুর। এছাড়া মাংস কাটতে গিয়ে হাতের রগ কাটা নিয়ে মিরপুর থেকে এসেছেন মোহাম্মদ শরিফ।
রোগী ভর্তির কাজে কর্তব্যরত নার্স সারমীন আক্তার জানান, ঈদে দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৬০ জন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। অধিকাংশ বাইক দুর্ঘটনা ও কোরবানি দেওয়ার সময় গরুর লাথিতে হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে এসেছেন। এদের মধ্যে ৯৮ জনের অবস্থা গুরুতর। অপারেশনের পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। আর অন্যরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন।
পঙ্গু হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা.এম জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, দুই দিনে এসব আহত রোগীর জন্য আমরা দিন রাত সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই দুই দিনে অনেক আহত রোগী এই হাসপাতালে আসেন। তারা হলেন মৌসুমী রোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।