বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানা ব্যস্ততার মধ্যে ঈদ কাটিয়ে পরের দিন কর্মস্থলে ছুটছে নোয়াখালীর লাখো কর্মজীবি। গন্তব্যন্থল যত দূরের হোক, আজকের মধ্যে স্বীয় কর্মস্থল পৌছতে হবে যে কোন উপায়ে। এ লক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে নারি-পুরুষ দলে দলে ছুঁটছে নিজ কর্মস্থলে। আগামিকাল থেকে পূণরায় লকডাউন শুরু হবে। তাই মানুষের মধ্যে তাড়াহুড়ো।
উল্লেখ্য, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে কয়েক লাখ কর্মজীবি বাড়িতে আসে। কিন্তু বাড়িতে এসে ঈদের পরদিনই তাদেরকে মাত্র এক দিনের মধ্যে পূণরায় কর্মস্থলে পৌছতে হবে। এ কারনে নোয়াখালীর প্রতিটি বাস স্ট্যান্ডসহ যাত্রী পরিবহন স্থানগুলোতে হাজারো মানুষের ভিড়। এ সূযোগে পরিবহন মালিকরাও যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। নোয়াখালীর ব্যন্ততম এলাকা চৌমুহনী, মাইজদীকোর্ট, সোনাপুরে শত শত যাত্রী অপেক্ষা করছে।
জেলার দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপবেষ্টিত হাতিয়া উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ নৌকা-ট্রলারে করে হাতিয়া চেয়ারম্যানঘাট আসছে। সেখান থেকে সিএনজি যোগে সোনাপুর পৌছছে। সোনাপুর থেকে বিভিন্ন রুটের যানবাহনের মাধ্যমে এরা নিজ নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। মাত্র এক দিনে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে গিয়ে মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কয়েকজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আসা মানুষের পক্ষে একদিনের নোটিশে কর্মস্থলে পৌছানো সম্ভব? তারা আরও বলেন, ঈদে ঘরমুখো লাখ লাখ মানুষের সমস্যার কথা বিবেচনা করে আগামী ২৫ জুলাই থেকে লকডাউন দেওয়া হলে লোকজন অন্তত নিরাপদে কর্মস্থলে নিশ্চিন্তে পৌছতে পারত। কিন্তু জনসাধারণকে দূর্ভোগে ফেলে সরকারের কী লাভ হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।