বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : এ বছর থেকে সরকার সারাদেশে গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কার্ডের মাধ্যমে ১০টাকা কেজি ধরে খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছে। সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে প্রদান করা হবে। এ কর্মসূচি প্রতিবছর মার্চ থেকে নবেম্বর এই পাঁচ মাসব্যাপী চলবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের বেগম আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর এমপির প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী।
দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে স্বল্প মূল্যে মহানগর, বিভাগ, জেলা পর্যায়ে ওএমএস খাতে আটা বিক্রয় কার্যক্রম চালু করে আসছে বলে জানান তিনি।
বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কৃষি উৎপাদনের উপকরণসমূহ বিশেষতঃ রাসায়নিক সার সহজলভ্য করা হয়েছে। নন-ইউরিয়া সারের মূল্য প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস করা হয়েছে। সেচের জন্য ডিজেলে ভর্তুকী প্রদানসহ সেচ মৌসুমে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সেচ যন্ত্রে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুত সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকদের স্বল্প পুঁজি তথা মাত্র দশ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগসহ বর্ধিত হারে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম গ্রহনের ফলে বর্তমানে দেশ চাল উৎপাদনে স্বয়ংসস্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং বিদেশেও চাল রফতানি করছে।
নতুন নতুন শ্রম বাজার খুঁজছে সরকার ॥ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সফুরা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাস বিএসসি বলেন, অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতকে সরকার থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকার বিদ্যমান শ্রম বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রম বাজার সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যেখানে বিশ্বের মাত্র ৯৭টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হতো, সেখানে নতুন আরো ৬৩টি দেশে কর্মী প্রেরণসহ বর্তমানে এই সংখ্যা ১৬০টি দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বিদেশে গমনকারী নারী কর্মী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত আট বছরে বিদেশে নারী কর্মী গমনের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৫ জন। সম্প্রতি সরকারের শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সৌদি আরবের শ্রম বাজার বাংলাদেশের সকল ক্যাটাগরীর শ্রমিকের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় রিক্রুটিং এজেন্সিকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশের কর্মী প্রেরণের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।