মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বনের অনেক চতুষ্পদী খাঁচায় বন্দি থাকে। খাচা থেকে বের হতে পারলেই স্বাধীন। মানুষের কারনে মাঝে মধ্যে এই স্বাধীনতা থাকে না খাঁচায় বন্দি হওয়ার পর। আবার চিড়িয়াখানায় থাকতে হয় খাঁচাবন্দি হয়ে।
তবে ছবির কাহিনি কিন্তু বন্দিত্বের নয়, মুক্তির। মানুষের হাতে বন্যপ্রাণীর মুক্তি। আর সেই স্বাদ পেয়ে মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেনি বন্যপ্রাণী। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খাঁচা থেকে জঙ্গলের সবুজের মাঝে বের হতে পেরে আহ্লাদে আটখানা শিম্পাঞ্জি লাফিয়ে উঠে পরম আদরে জড়িয়ে ধরল তার মুক্তিদাতাকে!
মানুষ-প্রাণীর সে আলিঙ্গন দেখে আবেগের স্রোত যেন বাঁধ মানে না। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আসলে বেশ কয়েক বছর আগের। কিন্তু আবার তা সামনে এনেছেন ভারতের বন বিভাগের কর্মকর্তা সুধা রমন।
গত বুধবার ছিল বিশ্ব শিম্পাঞ্জি দিবস। সেই দিনই সুধা রমনের টুইট করা ভিডিওটি ঝড় তুলেছে নেটদুনিয়ায়। মন ভাল করা ভিডিওটি কতবার যে রিটুইট, শেয়ার হয়েছে, তার হিসেব করা দায়। কী দেখা গেল তাতে?
জেন গুডঅল নামে এক বিখ্যাত বানর বিশেষজ্ঞ তার সঙ্গীদের নিয়ে গিয়েছেন এক শিম্পাঞ্জিকে উদ্ধার করতে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে খাঁচাবন্দি ছিল শিম্পাঞ্জি। এবার তাকে লোহার ঘর থেকে বের করে এনে প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দেওয়ার পালা।
এক বিচ্ছিন্ন সবুজ দ্বীপে তাকে নিয়ে যখন ছেড়ে দিলেন জেন গুডঅল, প্রথমেই দেখা গেল, প্রাণীটি প্রবল উচ্ছ্বাসে খানিকক্ষণ ঘুরেফিরে নিল। তারপর একবার খাঁচার কাছে মুহূর্তের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল জেনের কোলে। তার গলা জড়িয়ে ধরে এমনভাবে আলিঙ্গন করল যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
এই ছবিই বলে দেয়, যে মানুষের হাতে মানবেতর প্রজাতির বন্দিত্ব, সেই মানুষের হাত ধরেই যদি বন্ধনমুক্ত হয়ে স্বস্থানে ফিরতে পারে তারা, তবে সেই ভাল লাগার প্রকাশও ঘটায়। বন্যপ্রাণী মানেই কেবল হিংস্রতার বশবর্তী নয়, সে জানে কৃতজ্ঞ হতে, ভালবাসতেও। সূত্র : মিরর ইউকে, ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।