পটুয়াখালীতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সাথে একদিকে যেমন চাহিদা বেড়েছে জ্বর পরিমাপ যন্ত্র থার্মোমিটারের, সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে থার্মোমিটারের দাম। এ অবস্থা জেলা শহরের ফার্মেসিসহ উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত।

করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে আগে যে নরমাল চায়না থার্মোমিটার বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। চায়না উন্নতমানের একটি থার্মোমিটার আগে বিক্রি হতো ৬৫ টাকায় এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। ডিজিটাল থার্মোমিটার আগে বিক্রি হতো ৯৫ টাকায় এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
পটুয়াখালীর বাউফলের মোল্লা ফার্মেসির মালিক মো. রিয়াজ মোল্লা জানান, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির আগে যেখানে মাসে ১২টা বিক্রি হতো না, সেখানে এখন প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টা থার্মোমিটার বিক্রি হচ্ছে। চায়না থেকে ইমপোর্টের মাধ্যমে আসা থার্মোমিটার আগে তারা মিটফোর্ড পাইকারী বাজার থেকে অর্ডারের মাধ্যমে কিনতেন ২৪০ টাকায়। এখন সেগুলো তাদের কিনতে হচ্ছে কমপক্ষে ৬০০ টাকায়। এর মধ্যে আবার দুই একটা থাকে ভাঙ্গা বা নষ্ট যার কারণে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
কলাপাড়ার রুম্মান ফার্মেসির সত্ত্বাধিকারী মো. আশরাফুল আতিক রুম্মান জানান, চায়না ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারের আগে তারা বিক্রি করতেন ৩৫ টাকায় এখন বেশি দামে কেনায় তারা ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। তোশিবা নামে একটি থার্মোমিটার আগে বিক্রি হতো ৬৫ টাকায় এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। পটুয়াখালীর মমতা ফার্মেসির মো. ফোরকান জানান, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় থার্মোমিটারের চাহিদা বেড়েছে। ঢাকার পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে কেনায় তারা পূর্বের দামে বিক্রি করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, যেহেতু থার্মোমিটার ইমপোর্ট প্রডাক্ট, করোনার প্রকোপ সারা দেশেই বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে না পারায় ঢাকার পাইকারি বাজারে থার্মোমিটারের দাম বেশি। এদিকে রোগী ছাড়াও সাধারণ মানুষ অনেকেই করোনার সতর্কতায় জ্বর পরিমাপের জন্য থার্মোমিটার কিনছেন তাই বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে দোকান মালিকরা বেশি দামে থার্মোমিটার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।