বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিষিদ্ধ সত্ত্বেও এবারও মহাসড়কের উপরেই বসেছে কোরবানির হাট। আবার কোনো কোনো এলাকায় মহাসড়কের পাশের হাট দখল করে নিয়েছে মহাসড়ক। এতে করে চলার পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজটের। হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আশেপাশে বসানো হাটের কারণে যান চলাচল ব্যহত হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, ঢাকার ভিতরেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপরেই বসেছে কোরবানির হাট। রাজধানীর শনিরআখড়া হাটের বেশিরভাগই দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপরে। মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে শনিরআখখড়া হয়ে এক কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ রায়েরবাগে গিয়ে মিলেছে এই হাট। এ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়কের উপরেই বসেছে কোরবানির হাট। এর মধ্যে পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় হাটের কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
ভুক্তভোগিরা জানান, প্রতি বছরই কোরবানির হাট এলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মহাসড়কের উপর কোনো হাট বসবে না। কিন্তু হাট এলে সে কথা আর কেউ মনে রাখে না। ইজারাদাররা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই সড়ক-মহাসড়কের উপর হাট বসাতে পাইকারদের উৎসাহিত করে থাকেন।
এদিকে, করোনার সংক্রমণের মধ্যেও পাড়া মহল্লায় হাট বসায় মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে আছে। দনিয়া এলাকায় আরও ৪/৫দিন আগে থেকেই পাড়া-মহল্লার ভিতরেই হাট বসানো হয়েছে। এতে করে ঘর থেকে বের হলে ঠেলতে হচ্ছে ভিড়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, যারা গরু এনেছে তাদের বেশিরভাগই দক্ষিণাঞ্চলের করোনা সংক্রমিত এলাকার। বিশেষ করে কুষ্টিয়া, চূয়াডাঙ্গা, খুলনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল এলাকা থেকে বেশি পাইকার এসেছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও এসব লোকজনের সংস্পর্শে আসতে বাধ্য হচ্ছে এলাকার মানুষজন। এটা ঈদের পর ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।