পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তির একটি সপ্তাহ পার করলো দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত সপ্তাহে (১২-১৫ জুলাই) তিন দিন উত্থান আর একদিন সূচকের সামান্য পতন হয়েছে। ফলে এই সপ্তাহে সূচক, বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং লেনদেনও বেড়েছে। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন বেড়েছে আট হাজার কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছিল সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই সপ্তাহেই উত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও।
ডিএসইর তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে (১২-১৫ জুলাই) ডিএসইতে মোট চার কার্যদিবসে ৬ হাজার ৭০৬ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ টাকা লেনদেন হয়েছে; যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫২১ টাকা। শতাংশের হিসেবে চার দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। এর আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেনে হয়েছিল ছয় হাজার ৪১০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮৮ টাকা।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের শেষ সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬৭টির, কমেছে ৯৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ২৩০টির, কমেছিল ১৩৬টির, অপরিবর্তিত ছিল ১০টির।
বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৩০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ও সূচক বাড়ায় ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বা বাজার মূলধন আট হাজার ৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৯ টাকা বেড়ে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৭ হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ৬৫৯ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বাড়ার শীর্ষে ছিল সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড, ফুয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক, শাইনপুকুর সিরামিক, এসইএমএল এফবিএএলএস এল গ্রোথ ফান্ড, জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিম টেক্সটাইল, এএফসি এগ্রো বাইটেক এবং এশিয়ার টাইগার সন্ধ্যানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে : বেক্সিমকো লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড, লাফার্জহোলসিম, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স,প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এবং আমান ফিড লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৪৩ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ২২২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি তিন লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৪টির, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে সিএসইর প্রধান সূচক ৩১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।