Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে ঈদের পরে ভয়াবহ হতে পারে সংক্রমণ

৫০ শয্যার হোপ আইসোলেশন হাসপাতাল স্থাপন

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২১, ২:৪১ পিএম

কক্সবাজারে করেনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উর্ধমুখী হওয়ায় রোগী রাখার জায়গা হচ্ছেনা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। বিষয়টি বিবেচনায় এনে হোফ ফাউন্ডেশন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হোপ আইসোলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে কক্সবাজারে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার কবিতা চত্বর এলাকায় ৫০ শয্যার এই আইসোলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহ মামুনুর রশীদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে পারে। তাতে হাসপাতালে জায়গা দেয়া কঠিন হবে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এখন কঠিনভাবে করোনা প্রতিরোধ করতে হবে, মাস্ক পরতেই হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, গ্রামগঞ্জে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গ্রাম এলাকার ওয়ার্ড পর্যায় থেকে প্রশাসন, রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে টিম ওয়ার্ক করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানবিক সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জেলা আওয়ামী লীগ ও প্রসাশনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও মানবিক কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা কোরবানি ঈদের পরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তাই আমাদের যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করলে তাঁর প্রতিদান আল্লাহর কাছ থেকে মিলবে।”

সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, বলেন, প্রতিদিন করোনা শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এতে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দীর্ঘ হচ্ছে। এই হোপ আইসলেশন ও চিকিৎসা কেন্দ্র সদর হাসপাতালের আইসোলেশনের চাপ অনেকটা কমবে।

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. নাসিম আহমদ, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, ডব্লিউএইচও এর স্বাস্থ্য পরামর্শক ডা. সেনথানো সায়মন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নওশাদ রিয়াদ, ডা. ইমরুল কায়েস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইয়াসমিন আক্তার।

সভাপতির বক্তব্যে হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন, হোপ ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হবে এই সেন্টার। এই সেন্টারে সম্পূর্ন বিনামুল্যে কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত রোগীদের দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।

এই সেন্টারটিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ স্বয়ংক্রিয় অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যন্ত্র রয়েছে যার সার্বিক পরিচালনায় থাকবে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষতা সম্পন্ন ৩ জন ডাক্তার, ৪ জন নার্স, ৪ জন প্যারামেডিক, ৫ জন সাপোর্ট স্টাফ, ৭ জন আয়া-ক্লিনার, ৩ জন সিকিউরিটি গার্ড ও ২ জন ওয়াশ ম্যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা ভাইরাস

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ