পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরব ও কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যগামীরা চীনের টিকা নিলে তা গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করা হচ্ছে না। চীনের যে কোনো টিকা নিয়ে কুয়েত ও সউদী আরবে পৌঁছালে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। এই কোয়ারেন্টাইনের জন্য বাংলাদেশি ৭০ হাজার টাকা খরচ করতে হয় প্রত্যেকের।
গতকাল বৃহস্পতিবার রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত সউদী প্রবাসীরা শুধু চার ধরনের টিকা নিয়ে সউদী আরব ফিরতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো টিকা নিলে তাদের গ্রহণ করবে না সউদী সরকার। এসব টিকা হলো: ফাইজার বায়ো-এনটেক (২ ডোজ), অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (২ ডোজ), মডার্না (২ ডোজ) ও জনসন অ্যান্ড জনসন (১ ডোজ)।
বাংলাদেশ থেকে যারা সউদী আরবে যাবেন তারা এর যেকোনো একটি কোম্পানির টিকার ডোজ নিলে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে টিকা নিলেও ভ্রমণের আগে (৭২ ঘণ্টার মধ্যে) অবশ্যই পিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে। টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া ছাড়া কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী সউদী আরবে প্রবেশ করলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে ইকামাধারী অভিবাসী যারা সউদী আরবে টিকা নিয়ে ছুটিতে দেশে রয়েছেন এবং যাদের তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করছে তাদের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হবে না। কিন্তু পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে।
প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ১৮০ দিন পর্যন্ত তাওয়াক্কালনা অ্যাপে ইমিউন প্রদর্শন করে। এ সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করলে কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হবে না। যারা প্রথমবারের মতো সউদী আরব যাবেন তাদের জন্য সউদী সরকার অনুমোদিত টিকা ভ্রমণের ১৪ দিনে আগে নেওয়া হলে এবং টিকা নেওয়ার সনদ থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন হবে না।
এদিকে ফাইজারের টিকা দিতে না পেরে রাজধানীর একটি টিকাকেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছেন সউদী আরব ও কুয়েত প্রবাসীরা। গতকাল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা টিকাদানে বিশৃঙ্খলা ও হয়রানির অভিযোগ করেন। ওই কেন্দ্রে প্রবাসীদের ফাইজারের টিকা দেয়ার কথা থাকলেও টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের মডার্নার টিকা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এতে প্রবাসীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় হাসপাতালের কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রবাসীদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যদিও পরে কিছু প্রবাসী মডার্নার টিকা গ্রহণ করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফাইজারের মতো মডার্নার টিকাও কুয়েত, সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে স্বীকৃত।
বিক্ষোভকারী প্রবাসীরা বলেন, গত ৫ই জুলাই প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদেশগামী কর্মীদের মধ্যে যারা সউদী আরব ও কুয়েত যাবেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন। আর যারা অন্য দেশে যাবেন, তারা চীনের সিনোফার্মের টিকা পাবেন। টিকা শুরুর দুই-তিন ঘণ্টা পর আনসার সদস্যরা ফাইজারের টিকার জন্য টাকা চান। এরই মধ্যে আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফাইজারের টিকা শেষ হয়ে গেছে বলে ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের জন্য ফাইজারের টার্গেট ১ হাজার ২০০ টিকা সকালে শেষ হয়ে যায়। এ সময় প্রবাসীরা ফাইজারের টিকা নেয়ার জন্য হইচই শুরু করেন। তারা মডার্নার টিকা নিতে নারাজ। অথচ ফাইজারের টিকা ও মডার্নার টিকা একই। এই সিদ্ধান্ত তো আমাদের না। আমরা তাদের বলেছি, মডার্নার টিকা নিলে প্রবাসীদের বিদেশে যেতে অসুবিধা হবে না। আনসার সদস্যদের টাকা দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্ত করে দেখা হবে। এমনটি কেউ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, ফাইজার অথবা মডার্নার টিকা নিয়ে কুয়েত ও সউদী আরব যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন। তিনি বলেন, কুয়েত ও সউদী আরবে ফাইজার ও মডার্নার টিকার কথা বলেছে। ফাইজারের টিকা না নিলে যে কুয়েত ও সউদী আরবে যেতে পারবে না বিষয়টি কিন্তু এমন নয়, মডার্নার টিকা নিলেও তারা সংশ্লিষ্ট দেশে যেতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।