মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০২০ সালের নভেম্বরে ২৩ দিনের অভিযানে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে এসেছিল চীনা মহাকাশযান চ্যাঙ’ই-৫-এর মডিউল। সেই মডিউলের ভেতরে রাখা ছিল ৪০ গ্রাম সাধারণ ধান। মহাকাশে রেডিয়েশন, ভারহীন অবস্থায় থাকায় তার কী প্রভাব পড়ে, সেটা জানার চেষ্টাই এর কারণ। সেই ‘মহাজাগতিক’ ধান থেকে চারা বানিয়ে এবার তা থেকেই ধান চাষ করেছেন গবেষকরা।
গুয়াংডং প্রদেশে সাউথ চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে এই বিশেষ ধান থেকে চারা তৈরি করে ধান উৎপাদন করা হয়েছে। এবার এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বীজগুলো থেকে গবেষণাগারে ফের গাছ করা হবে। তারপর গবেষণা শেষে সেই ধানের বীজ মাঠ পর্যায়ে চাষের জন্য বণ্টন করা হবে। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও স্পেস রাইস নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করেছে চীন।
মহাকাশে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন বীজ পাঠাচ্ছে চীন। এর পেছনের মূল উদ্দেশ্য হলো মিউটেশন ঘটানো। ভারহীন অবস্থায় এবং বিকিরণের ফলে এমন মিউটেশন ঘটতে পারে যা থেকে বদলে যেতে পারে বীজের চরিত্র। তার থেকে হওয়া গাছে হতে পারে বেশি ফলন। ১৯৮৭ সাল থেকেই মহাকাশে বীজ পাঠাচ্ছে চীন। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, এ পর্যন্ত আনুমানিক দুই শতাধিক প্রজাতির বীজ পাঠিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে আছে কার্পাস, টমেটোর মতো উদ্ভিদের বীজও। ২০১৮ সালের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি হেক্টরজুড়ে এই মহাজাগতিক বীজ থেকে চাষ করছে চীন। চাইনিজ মিডিয়ায় এই ধানের নাম দেওয়া হয়েছে স্বর্গীয় চাল। অন্তত আরও তিন থেকে চার গবেষণার পর এই চাল বাজারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্লুমবার্গ, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।