Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পান্তা ভাত-আলু ভর্তা পরিবেশন করে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় তৃতীয় কিশোয়ার : সামাজিক মাধ্যমে প্রসংশার বন্যা

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২১, ১:৪১ পিএম

পান্তা ভাত, আলু ভর্তা আর সার্ডিন মাছ ভাজি পরিবেশন করে রান্না বিষয়ক জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী। বাংলাদেশের গ্রামবাংলার মানুষের চির চেনা এই খাবার বিশ্ব দরবারে পরিচিত করায় সর্বত্র প্রসংশিত তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বইছে প্রসংশার বন্যা।

কিশোয়ারের রেসিপি এখন বিশ্বনন্দিত। একের পর এক এমন মুখরোচক খাবার রান্না করে বিচারকসহ বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকের নজর কাড়েন তিনি। এর আগে তিনি ওই অনুষ্ঠানে ফুচকা, আমের টক, খাসির রেজালা, খিচুড়ি, জাউ ভাত, চিংড়ি-লাউয়ের স্যুপ, সামুদ্রিক মাছের তরকারি, বেগুন ভর্তা, মাছ ভাজা, কুলফি মালাই তৈরি করেছেন।

এ বিষয়ে জান্নাতুল নাঈম মনি লিখেন, ‘খুব ভাল এবং ইউনিক একটা কনসেপ্ট। অনেকে তো বিদেশে গিয়ে দেশের আচার সংস্কৃতি সংস্কার ভুলে যান। নিজ দেশের পরিচয় দিতে যেন তাদের লজ্জা লাগে! সেখানে তিনি একটি প্রতিযোগিতায় রীতিমত দেশের আবহমান বাংলার প্রধান বাঙ্গালী খাবার পরিবেশন করেছেন! ধন্যবাদ ওনাকে।’

শুভ কামনা জানিয়ে জুবায়েদ আহমেদ লিখেন, ‘যারা দেশের কদর করতে জানে, আমাদের উচিৎ তাদের যথাযথ সম্মান দেয়া। কিশোয়ার এ দেশের গর্ব, তার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণের জন্য শুভ কামনা রইলো।’

মাহবুব সোহাগ লিখেন, ‘কিশোয়ার আমাদের গর্ব, আমাদের বোন৷ সে আমাদের সম্মান, সৌন্দর্য, মাধুর্য, শিল্পী এবং আমাদেরই সৎ গুণের মুকুট স্বরুপ৷ কিশোয়ার এর উপস্থাপন দেখে আমারও বারবার চোখ ভিজেছে৷ দোয়া করি, বাংলার সকল কিশোয়ার যেন তাদের মেধায় বিকশিত হতে পারে, ধরিত্রীকে করে আরও নির্মল প্রেমময়৷ জয় হোক কিশোয়ারের, জয় হোক শুভ সম্ভাবনার৷’

তার জন্য তর্ববোধ করে এমডি জিলানী লিখে, ‘কিশোয়ার চৌধুরী !!! যাকে যত দেখেছি তত মুগ্ধ হয়েছি। কত সুন্দর ভাবে আমাদের ঐতিহ্য ও খাবার তুলে ধরেছে সবার সামনে। সত্যি একজন বাঙ্গালী হিসাবে গর্ব হয় তার জন্য।’

ধন্যবাদ জানিয়ে শারমিন জাহান মম লিখেন, ‘ধন্যবাদ, আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য। আগামী দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা রইল। যাহারা পান্তা ভাতকে খ্যাত, গরীব, গ্রাম্য বলে হাসিঠাট্টা করে তাঁদের একটু ভেবে দেখা উচিত।’

এম. এ. মুনসুর লিখেন, ‘বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার শুকনো মরিচ এর সাথে পান্তাভাত ও আলুবর্তা, যা আমরা অতিথিকে পরিবেশন করার সাহস করি না। কিশোয়ার তা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় উপস্হাপন করে বাঙ্গালী জাতির মূখ উজ্জ্বল করেছেন। উনাকে অশেষ ধন্যবাদ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ