Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লকডাউন শিথিল না করে আরও বাড়ানোর সুপারিশ

সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১১:৪২ পিএম | আপডেট : ১১:৪৭ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০২১

চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সেই সঙ্গে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় লকডাউন শিথিলের সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিটি।

বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, সোমবার (১২ জুলাই) কমিটির ৪১তম অনলাইন সভায় এ সুপারিশ করা হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কোরবানির পশুর হাট বন্ধসহ আরও ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন সুপারিশ করা হয় সুপারিশে।

এদিকে লকডাউন শিথিল করায় বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বুলেটিনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই ৮ দিনের জন্য লকডাউনের যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, তাতে সারা দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া গণপরিবহন, শপিংমল ও কোরবানির পশুর হাটে যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা না হয়, তবে সংক্রমণের মাত্রা কমার কোনো সুযোগ থাকবে না।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মাস্কের ব্যবহার ১০০ ভাগ করা না গেলে সংক্রমণের মাত্রা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কমানো যাবে না। তাই জনে জনে যেন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অনুরোধ জানাই।

গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত সব ধরণের বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। অর্থনৈতিক সব কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ফলে ৮ দিনের জন্য শেষ হচ্ছে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ সময় জনসাধারণের যাতায়াতে বাধা থাকবে না এবং ঈদ সামনে রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

লকডাউন শিথিল হওয়ার সময়ে জনগণকে মাস্ক পরা এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত নতুন করে যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়েছে।



 

Show all comments
  • মোঃ রাশেদ সালাহউদ্দিন ১৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০৯ এএম says : 0
    এতো দিন শিক্ষা মন্ত্রী যে, বলে আসছিলেন জাতীয় পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী এখন তো মনে হয় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সব যে সরকার শুনে তা কিন্তু নয়? উদ্ভট সব সিদ্ধান্ত।
    Total Reply(0) Reply
  • Ruhul Amin Zakkar ১৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৫ এএম says : 0
    লকডাউন-কঠোর লকডাউন/শাটডাউনে কি করোনা নিয়ন্ত্রিত হয়? সবার জানা এতে কিছুই হয়না, হচ্ছেনা এবং হবেও না। তাই অনেক উন্নত দেশ এখন এই পদ্ধতি ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া গৃহবন্দি মানুষের কি করোনা হয়না? গত বছর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এমন এক বন্দীর করোনা হলো যিনি চীনে করোনা প্রকাশ পাওয়ার আগ থেকেই জেলে ছিলেন, এবং বাংলাদেশে করোনা ধরা পরার তিন মাসের মধ‍্যে বাহিরের কোনো মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। প্রশ্ন হলো জেলের ঐ নিবিড় কক্ষে বন্দি থাকা ব‍্যক্তি আক্রান্ত হলেন কিভাবে? এছাড়া প্রতিনিয়ত দেখা যায় তথাকথিত স্বাস্থ্যবিধি কোটি কোটি মানছেনা। তাহলেতো সবারই আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিলো। কই আঠারো কোটি মানুষের দেশে দশ-বারো হাজার শনাক্ত হচ্ছে। দেশের নব্বই শতাংশ মানুষের ধারণা লকডাউন তুলে দেয়ার পরও করোনা বর্তমান হারেই বৃদ্ধি পাবে। বিগত বছর বি-বাড়িয়ায় একজন স্বনামধন্য আলেমের জানাযায় লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হওয়ায় আশপাশের দশ দশটি গ্রামের মানুষকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টেনে বন্দী রাখা হলো। সেখানকার ওসিকে প্রত‍্যাহার করা হলো। ব‍্যারিস্টার সুমনেরা আর তথাকথিত টকশোআলারা কতনা হা-পিত্বেশ করলো। কিন্তু চৌদ্দ দিন পর দেখা গেলো সেই এলাকায় একজন বনিআদমও করোনা আক্রান্ত বা শনাক্ত হয়নি। তাই এসি রূমের বিবেচনায় পরামর্শ না দিয়ে দেশের হত-দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকারকে পরামর্শ দিন। আমরা মনে করি সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যথাযথ ও সময়োচিত। এবং সরকারের নিকট আমাদের অনুরোধ থাকবে আর এই লকডাউন নামক জনদুর্ভোগে আমাদের ফেলবেননা। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।
    Total Reply(0) Reply
  • Ruhul Amin Zakkar ১৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৪৫ এএম says : 0
    লকডাউন-কঠোর লকডাউন/শাটডাউনে কি করোনা নিয়ন্ত্রিত হয়? সবার জানা এতে কিছুই হয়না, হচ্ছেনা এবং হবেও না। তাই অনেক উন্নত দেশ এখন এই পদ্ধতি ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া গৃহবন্দি মানুষের কি করোনা হয়না? গত বছর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এমন এক বন্দীর করোনা হলো যিনি চীনে করোনা প্রকাশ পাওয়ার আগ থেকেই জেলে ছিলেন, এবং বাংলাদেশে করোনা ধরা পরার তিন মাসের মধ‍্যে বাহিরের কোনো মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। প্রশ্ন হলো জেলের ঐ নিবিড় কক্ষে বন্দি থাকা ব‍্যক্তি আক্রান্ত হলেন কিভাবে? এছাড়া প্রতিনিয়ত দেখা যায় তথাকথিত স্বাস্থ্যবিধি কোটি কোটি মানছেনা। তাহলেতো সবারই আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিলো। কই আঠারো কোটি মানুষের দেশে দশ-বারো হাজার শনাক্ত হচ্ছে। দেশের নব্বই শতাংশ মানুষের ধারণা লকডাউন তুলে দেয়ার পরও করোনা বর্তমান হারেই বৃদ্ধি পাবে। বিগত বছর বি-বাড়িয়ায় একজন স্বনামধন্য আলেমের জানাযায় লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হওয়ায় আশপাশের দশ দশটি গ্রামের মানুষকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টেনে বন্দী রাখা হলো। সেখানকার ওসিকে প্রত‍্যাহার করা হলো। ব‍্যারিস্টার সুমনেরা আর তথাকথিত টকশোআলারা কতনা হা-পিত্বেশ করলো। কিন্তু চৌদ্দ দিন পর দেখা গেলো সেই এলাকায় একজন বনিআদমও করোনা আক্রান্ত বা শনাক্ত হয়নি। তাই এসি রূমের বিবেচনায় পরামর্শ না দিয়ে দেশের হত-দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকারকে পরামর্শ দিন। আমরা মনে করি সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যথাযথ ও সময়োচিত। এবং সরকারের নিকট আমাদের অনুরোধ থাকবে আর এই লকডাউন নামক জনদুর্ভোগে আমাদের ফেলবেননা। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমীন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Monir Bhuiyan ১৫ জুলাই, ২০২১, ৭:২২ এএম says : 0
    এসি রুমের ভেতরে বসে এসব কথা বলা সহজ। দিনমজুরের মতো ঘাম ঝড়িয়ে টাকা উপার্জন করলে এই কথা বলতেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মাখদুম ১৫ জুলাই, ২০২১, ৭:৩৮ এএম says : 0
    এদের কথার দ্বারা বুঝাগেল বাংলাদেশে নাস্তিকদের দৌড়াত্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের উচিত এদের দিকে কান নাদেয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • ABDUR ROUF ১৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৩১ পিএম says : 0
    GARMENTS SHILPO KARKHANA HAJAR HAJAR SROMIK TARA 85 TO 90% MURKHO TARA KAJKORCHE TADER KORONA HOYNA SHUDHU KI RASTAI AR SCHOOL COLLAGE A CORONA GHURA BERAI GARMENTS SROMIK RASTAI BEROTE HOYNA ATHER CORONA CHINENA SOB NATOK BANGALI BUJHE ER PECHONE ONNO KONO KARON ACHE
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লকডাউন

৭ এপ্রিল, ২০২২
১৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ