পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু কমাতে জনসচেতনা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই। একই সাথে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। গতকাল আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ‘বজ্রপাত ও করণীয়’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনারে অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য এবং আইইবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বজ্রপাত বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক মহা আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে মৃত্যু হার বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে। এতদিন এই বজ্রপাত ছিল গ্রাম, হাওর বা বিল এলাকায়, এখন শহর এলাকায়ও দেখা যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বজ্রপাতজনিত ক্ষয়ক্ষতি রোধে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কিন্তু তারপরও থেমে নেই বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। মানুষ ছাড়াও গবাদি পশুপাখি মারা যাচ্ছে। বজ্রপাত থেকে রক্ষায় অন্যতম উপায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। সরকার এই বিষয়ে কাজ করছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে বর্তমান সরকার ১০ লক্ষ তাল গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, থাইল্যান্ডে তাল গাছ লাগিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভিয়েতনামে মোবাইল টাওয়ার এর আর্থিং সিস্টেমের মাধ্যমে বজ্রপাতে মৃত্যু সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশে হাওর এলাকায় তাল গাছ লাগানোর পাশাপাশি টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সব থেকে বেশি দরকার হলো মানুষের সচেতনতা।
প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা যদি ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পায় তাহলে বজ্রপাতের সংখ্যা ৫০ ভাগ বেড়ে যায়। তাই সবার আগে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বজ্রপাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ এবং পরিবেশবিদের এক সাথে কাজ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।