Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিসিবির ট্রাকে দীর্ঘ লাইন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

নিত্যপণ্যের অসাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্তের সংসার চলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনো অনেক পণ্যের দাম বাড়ছে। এঅবস্থায় টিসিবির পণ্য কিনতে ছুটছে মানুষ। রাজধানীসহ সারাদেশে টিসিবি তিনটি নিত্যপণ্য সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করছে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গত ৫ জুলাই থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টিসিবির ওই ট্রাক সেলে সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি ও মসুর ডাল এবং ১০০ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন।
বাজারে বর্তমানে ১লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। টিসিবির ট্রাকে সে তেল ১০০টাকা লিটার কিনতে পারছে। এতে ৫ লিটার তেলে প্রায় দুইশ’ টাকা সাশ্রয় হয়। ডাল বাজারে মান ভেদে ৮৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি। টিসিবির ট্রাকে ডাল পাওয়া যায় ৫৫ টাকা কেজি। চিনি বাজারে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। টিসিবির ট্রাকে ৫৫ টাকা কেজি। জন প্রতি টিসিবির ট্রাক থেকে ৫লিটার তেল ২ কেজি ডাল ও ২ কেজি চিনি কিনতে পারেন। এতে অন্তত তিনশ’ টাকা সাশ্রয় হয়। তাই মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তরা রাস্তায় নামছেন টিসিবির পণ্য কিনতে।
প্রতিদিনই রাজধানীতে টিসিবির ট্রাকে ক্রেতার লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ মোড়, পল্টন, নিউমার্কেট এসব স্থানে দেখা গেছে, প্রতিটি স্থানেই ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। প্রখর রোদের মধ্যে দুই তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে পণ্য পাওয়ায় পর তার সব কষ্ট ভুলে যান। প্রচন্ড রোদে যারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের হতে ছাতা ও বাজারের ব্যাগ দেখা গেছে। তবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কোন বালাই নেই। গায়ে গা ঘেষে গাদাগাদি করে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। যাদের মুখে মাস্ক দেখা গেছে তাদেরটাও থুতনির নিচে অথবা গলায় ঝুলতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় গতকাল দুপুর ১২ টায় টিসিবির একটি ট্রাকে দেখা যায় মানুষের দীর্ঘ লাইন। রাস্তা বেঁকে মানুষের লাইন গিয়ে ঠেকেছে পাশের গলিতে। এখানে সামজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। দু’জন ক্রেতার মাঝখানে ফাঁকা ছিলনা এক ইঞ্চি জায়গাও। অথচ করোনাভাইরাসের সংক্রম রোধে বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেককে অন্তত ১ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে বলেছেন।
পূর্ব নয়াটোলার দোকান কর্মচারি হাসেম উদ্দিন প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পেয়েছেন টিসিবির পণ্য। তিনি বলেন, পণ্য পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। লকডাউনে দোকান বন্ধ রয়েছে। গত মাসের বেতন এখনও পাইনি। ধারদেনা করে সংসার চলাতে হচ্ছে। এ অবস্থা কিছুটা কম দামে টিসিবির ট্রাক থেকে জিনিস কিনে নিচ্ছি।
টসিবির ট্রাকের পণ্য বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, আজকে ৫০০ কেজি চিনি, ৪০০ কেজি ডাল এবং ছয়শ’ লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে আমরা বের হয়েছি। এখানে পৌঁছেছি সকাল ১১টার দিকে। এখন প্রায় সবই শেষের দিকে। এখানে মানুষ লাইন ধরেছে ঠিকই। কিন্তু কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, দূরত্ব মানছে না। বারবার বললেও আমাদের কথা মূল্যায়ন করছেন না কেউ। আমরা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ করতে পারি বল প্রয়োগ করতে পারি না।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিসিবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ