পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মশার কোন বর্ডার বা সীমানা নেই, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল সোমবার সচিবালওেয় স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১০ম আন্তঃমন্ত্রণালয় অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা মারলে দক্ষিণ সিটি হবে না অথবা দক্ষিণে মারলে উত্তর হবে না এমনটি ভানা উচিত নয়। প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি-ঘর যারই হোক, আমি-আপনি যেই হই না কেন আমরা সবাই এই শহর ও দেশের মানুষ। মশা নিধনে সবাইকে অর্পিত নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগে কাজ না করলে সুফল আসবে না।জেল-জরিমানা করার পরও ঐসব বাসা-বাড়ি অথবা ভবনে পুনরায় মশার লার্ভা পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করা গুরুতর অপরাধ। আর এই অপরাধের সাথে কেউ সসম্পৃক্ত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এডিস মশার প্রজননের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুই সিটি কর্পোরেশনে চিরুনি অভিযানের অংশ হিসেবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বেজমেন্ট এবং ছাদে বিভিন্ন জায়গাতে জমা পানি থাকে। আর এখানেই এডিস মশার প্রজনন বেশি হয়। যারা ভবন নির্মাণ করছেন অথবা নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছেন বা যাদের পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে তাদেরকে জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা সামান্য পরিমাণ কেরোসিন ঢেলে দেয়ার পরামর্শ। ডেঙ্গু নিয়ে এখনও আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা বিস্তার বা প্রজননের সকল ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এডিস, অ্যানোফিলিস বা কিউলিক্স মশা যে মশাই হোক না কেন এগুলো নিধনের জন্য কি করতে হবে তা সবারই জানা। করোনার মধ্যে যেন ডেঙ্গু মাথা ব্যথার কারণ না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডকে দশটি সাব জোন ভাগ করে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে স্থায়ী রুপ দিয়ে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ। তার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন এবং মিশন বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছি।এখানে কে কোন মন্ত্রণালয়ের, কে কোন পদে আছে সেটা বড় বিষয় নয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা। সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, তথ্য ও সস্প্রচার সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।