পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেছারাবাদ উপজেলার আটঘরের কাগজি লেবুর চাহিদা দেশজুড়ে। প্রতি বছর লেবুর ভরা মৌসুমে প্রতিদিন এখান থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার কাগজি লেবু যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। উপজেলা সদর থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে আন্দাকুল বাজারে প্রতি শুক্রবার সকালে অথবা যেকোন দিন বিকেলে গেলেই দেখা যাবে রসালো কাগজি লেবু। ছোট ছোট মিনি ট্রাক, ভ্যানে করে বস্তায় ভরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লেবু পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রামেই রয়েছে লেবুর চাষ। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ির পুকুর পাড়ে, বাড়ির আঙিনায় লেবুর গাছ। তবে আটঘর, জিন্দাকাঠি, আন্দাকুল, ভিমরুলি, সতদাসকাঠি, আদমকাঠি এই ছয় গ্রামে কাগজি লেবুর চাষ হয় বাণিজ্যিকভাবে। লেবু চাষ করে এই ছয় গ্রামের প্রায় চার শতাধিক পরিবার সাবলম্বী। কিন্তু করোনার প্রভাবে এ বছর চাষিরা ন্যূন্যতম মজুরিও পাচ্ছেন না। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শতাধিক হেক্টর জমিতে আড়াই শতাধিক লেবুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানের অধিকাংশই আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে।
চাষিরা জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক কাগজি লেবুর চাহিদা রয়েছে। তাই চাহিদার উপর ভিত্তি করে ইউনিয়নে লেবু চাষের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামের সাধারণ গৃহস্থালিসহ অনেক ধনাঢ্যরা এ পেশায় জড়িত। লেবু চাষে অনেকেই সাবলম্বী। আগে একপোন (৮০ পিচ) লেবু বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকায়। এ বছর করোনায় দীর্ঘ লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লেবুর ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তারা। করোনার কারণে এলাকায় তেমন ব্যাপারিরাও আসছেন না।
আদমকাঠি গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সবুজ মজুমদার জানান, এ বছর লেবুর ফলন মোটামুটি সন্তোষজনক। তার পাঁচ শতক জমিতে এ বছর লেবুর ফলন হয়েছে। এ বছর করোনায় লেবুর প্রতি ব্যাপারিদের তেমন আগ্রহ না থাকায় দাম খুবই কম। ব্যাপারিদের চাহিদার তুলনায় হাটে অনেক লেবু আসে। তাই দাম খুবই কম। গেল বছরে ব্যাপারিরা একপোন লেবুতে ১৩০-১৫০ টাকা দাম দিত। এ বছর সেই একপোন লেবুর দাম দিচ্ছেন ৭০-৮০ টাকা। গেল বছরে পাঁচ শতক জমির লেবু বিক্রি করে ৩৫ হাজার টাকা পেয়েছি। এ বছর ওই পাঁচ শতক জমির লেবু বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা পেতেও কষ্ট হবে।
জিন্দাকাঠি গ্রামের লেবু চাষি বিজন মিত্র (৫০) জানান, তিনি দেড় একর জায়গায় কাগজি লেবুর চাষ করেছেন। প্রতি বছর তার দেড় একর (১৫০ শতক) জমিতে লেবু চাষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। ওই টাকা বাদ দিয়ে তার দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা লাভ থাকত। এ বছর চলমান লকডাউনে বাইরে থেকে কোন পাইকারি ব্যবসায়ী আসতে পারছেন না। সে কারণে লেবুর দাম খুবই কম।
আন্দাকুল গ্রামের পাইকারি লেবু ব্যবসায়ী অমল হালদার (৬০) জানান, লকডাউনে লেবুর চাহিদা খুবই কম। চাহিদার তুলনায় হাটে অনেক লেবু আসে। যে কারণে দাম কম। আষাঢ় শ্রাবণ এই দুই মাস কাগজি লেবুর ভরা মৌসুম। এ সময়ে তারা হাট থেকে লেবুর আকার ও সাইজ অনুযায়ী প্রতি পোন কাগজি লেবু কিনতেন ১০০ টাকা থেকে ১২৫ টাকায়। এ বছর সেই লেবু তাদের ৮০ টাকা পোন কিনতেও কষ্ট হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।