Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়ার শিবগঞ্জের বাড়ি বাড়ি জ্বর,কাশি,গলাব্যাথা করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ কম

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ২:২৩ পিএম

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত বগুড়ায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে প্রাণঘাতী করোনা। আক্রান্তের পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই লম্বা হচ্ছে এরোগে মৃত্যু বরণকারীদের তালিকা। করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষনা করা হলেও রোগটির উপসর্গ ছড়িয়ে পড়েছে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘরে ঘরে। এ উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই বাড়ি বাড়ি জ্বর,শ্বাস কস্ট,গলা ব্যাথা নিয়ে ভুগছেন মানুষ। একে একে আক্রান্ত হচ্ছেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও।

তীব্র জ্বর,গলা ব্যাথা, শ্বাস কস্ট করোনার অন্যতম প্রধান উপসর্গ হলেও এ এলাকার সাধারণ মানুষ এমন অবস্থায় অবাধে চলাচল করছেন। যাচ্ছেন হাট-বাজার ও জনাকীর্ণ এলাকায়। তবে সচেতনতা না থাকায় পল্লী চিকিৎসকদের থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ।

শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের মাঝে করোনা পরীক্ষার আগ্রহ কম থাকায় এর বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন মহলের৷

উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মসজিদের ঈমাম মাওঃ মহিউদ্দিন। সপ্তাহ খানিক করোনার উপসর্গ নিয়ে চলা ফেরার পর শুক্রবার ভর্তি হন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে শনিবার তার মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন রবিবার জানতে পারেন তার করোনা পজিটিভ।

উপসর্গ নিয়ে বাহিরে অবাধে ঘোরাফেরার পর করোনা পজিটিভ হয়ে নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলার মোকামতলার বড় হরিপুর গ্রামের এক দম্পতি।

এছাড়া একটি ইটভাটার সহকারী ব্যবস্থাপক করোনার উপসর্গ নিয়ে অবাধে চলাফেরার পর গত দুইদিন আগে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।

সাতানা চাকোলমা, কাশিপুর, দেউলী, জীবণপুর,আলাদীপুর, বানাইল,বন্তেঘরি, গনেশপুর, ধোন্দাকোলা, নারায়নপুরসহ উপজেলার গ্রাম গুলোর প্রায় সব বাড়িতেই জ্বর, কাশি, গলাব্যাথার মতো রোগ তীব্র আকার ধারন করেছে।

এব্যাপারে মোকামতলা এলাকার পল্লী চিকিৎসক আজিজুল বারী লিটন জানান, এ এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। অন্য মাসের তুলনায় গত ১ মাসে জ্বর,কাশি ও গলা ব্যাথার রোগী তুলনামূলক অনেক বেশি। আক্রান্তদের বেশির ভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন শিবগঞ্জ সদরের গুজিয়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান,ধোন্দা কোলা এলাকার জোতিন, মৃদুলসহ অন্যন্য পল্লী চিকিৎসকরাও।

গত দুই সপ্তাহে জ্বর,শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যাথার রোগীর চাপ বেড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, এমন তথ্য জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তারকনাথ কুন্ড বলেন, বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলার ২ জন করোনা শনাক্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

করোনার উপসর্গে আক্রান্তদের অতিদ্রুত করোনা পরীক্ষা পূর্বক নিরাপদ দূরুত্বে থাকার পরামর্শ দিয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, এমন অবস্থা চলতে থাকলে করোনা ধারন করবে ভয়াবহ রুপ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ