বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুরে আরো ৪ জন মৃত্যুবরন করেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৯৩ জনের মৃত্যু হলো। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছে আরো ১০৮ জন। সিভিল সার্জন দিনাজপুর কর্তৃক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে ল্যাব পরীক্ষায় পজিটিভ না হয়ে মৃত্যু অথবা অন্য জেলার রোগী দিনাজপুর মেডিক্যালে মৃত্যুবরণ করলে তা সরকারী হিসাবে দেখানো হয় না। ফলে প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে মেডিক্যাল ও মেডিক্যালের বাহিরে মৃত্যুবরনকারীদের সরকারী হিসাবে দেখানো হচ্ছে না। আর মৃত্যুর পর ব্লাড সংগ্রহ করে টেষ্ট করা হলে মুত্যুর হার অনেক বেশী হতো।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত ১২ দিনে মারা গেছে ২৭ জন। শনাক্ত হয়েছে ১৮৮৮ জন। জুলাইয়ে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরটিপিসিআর ও র্যাপিট এন্টিজেন টেষ্ট সবমিলিয়ে ৬৩৮৪ টি টেষ্ট করা হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে ১০৩৫৬ এবং সুস্থ্য হয়েছে ৭৯৮৭ জন। সক্রিয় পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২১৭৫ জন। জুলাইয়ের শুরু থেকে দিনাজপুরে মাত্র ১ দিন শনাক্তের হার ২১ থাকলেও এখন পর্যন্ত নি¤েœ ২৮ এবং উর্দ্ধে প্রায় ৪২ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এদিকে দিনাজপুর জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে করোনা’র উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারীভাবে দেখানো সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশী। করোনা পজিটিভ টেষ্ট না করেই বাসায় চিকিৎসা নিতে নিতে অনেক নারী-পুরুষের মৃত্যু ঘটছে প্রতিদিন। যা স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ হচ্ছে। ফলে সরকারী হিসাবে দেখানো শনাক্ত ও মৃত্যু’র সংখ্যা নিয়ে সাধারন মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ গতকাল দিনাজপুর সিভিল কার্যালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি খোলাসা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, দিনাজপুরের পরীক্ষাগারে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে কেবল তাদেরকেই মৃত হিসাবে দেখানো হয়। এছাড়া অন্য জেলার রোগী যদি দিনাজপুর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে তাও দিনাজপুর জেলার হিসাবে দেখানো হয় না। একইভাবে করোনা উপসর্গ কোন মৃত্যুকেই করোনায় মৃত হিসাবে দেখানো হয় না। যতক্ষন না ল্যাবে পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত নিশ্চিত না হয়।
সিভিল সার্জনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক নিশ্চিতভাবেই বলা চলে সরকারী হিসেবের বাহিরে অনেকেই মৃত্যুবরন করছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু’র পর স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত না করার কারনে করোনায় মৃত্যুর বিষয়টি চাপা পড়ে যাচ্ছে। টেষ্ট না করানোর অন্নতম কারন হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয়। এছাড়াও করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও হাসপাতালে বেড স্বল্পতার কারনে ৭০ শতাংশ রোগী হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এদের বিরাট একটি অংশ বাড়ীতেই প্রাণ হারাচ্ছে। যারা সরকারী মৃত্যু সংখ্যার বাহিরে থেকে যাচ্ছে। আবার যারা শেষ মুহুর্তে হাসপাতাল মুখি হয়ে মৃত্যুবরণ করছে তারাও মৃত্যু সংখ্যার বাহিরে থাকছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।