Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আজও শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:৪০ পিএম | আপডেট : ২:৫৯ পিএম, ১২ জুলাই, ২০২১

কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই আজও রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটে বিআইডব্লিউটিসির ঘোষণা উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনে ঘরমুখো মানুষ ও ব্যক্তিগত যানবাহন পদ্মা পার হচ্ছে। তবে গতকাল রোববারের চেয়ে চাপ কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। আজ সোমবার( ১২ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখী ফেরিতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতেই ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পদ্মাপার হতে দেখা গেছে।
পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যাত্রীদের ফেরিঘাটে আসতে দেখা যাচ্ছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ট্রাক, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা,মটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানে চড়ে বা পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছে যাচ্ছে।
মাদারীপুরের প্রবাস ফেরত রাকিব জানান, ঢাকা যাচ্ছে ফাইজারের চিকা নিতে,ঢাকা থেকে আসা মাদারীপুরের শিবচরে বাসিন্দা রাসেল জানান, সে ঢাকায় একটি কারখানায় কাজ করতো কারখানা বন্ধ কাজকাম নাই তাই দেশে চলে যাচ্ছে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার আলমগীর জানান,লকডাউনে ঢাকায় কাজ নেই তাই গ্রামে চলে যাচ্ছি, শিবচরের জামাল উদ্দিন জানান,মেস বাসায় থেকে বঙ্গবাজার রেডিমেড কাপড়ের দোকানে চাকরি করি মনে করছি ১ সপ্তাহ লকডাউনের পরে মার্কেট খুলবো এখন দেখি আবার বাড়াইছে আবার শুনতাছি কারফিউ দিবো তাই মালিক বলছে দোকান খুললে আসতে তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ঢাকা থেকে শিমুলিয়া ঘাট কিভাবে আসলেন জানতে চাইলে এক যাত্রী বলেন, বাবুবাজার থেকে কদমতলী এসে অটোরিক্সায় ইকুরিয়া এসে মোল্লার বাজার দিয়ে বেতকা বালিগাঁও হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মাওয়া চলে আসছি এদিক দিয়ে কোন চেকপোস্ট নাই।
ঢাকা থেকে আসা ঘাটে মাইক্রোবাস যাত্রী জানান, আমার আত্মিয় মারা গেছে তাই যাচ্ছি।
এদিকে সকাল থেকে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে ট্রাফিক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেছে।
সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, দ্বিতীয় দফা লকডাউনের চতুর্থ দিন সোমবার কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষ ফেরিতে পদ্মা পার হওয়ার জন্য ভিড় করছে। পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে এবং গণপরিবহন না থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় নিয়েই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার নিয়ে বিভিন্নভাবে শিমুলিয়ায় ছুটে আসছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহম্মেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ১১টি ফেরি চলছে। সকাল দিকে ফেরিতে যাত্রীর চাপ ছিলো এখন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান,ঘাটে এখন যাত্রী ও পন্যবাহী গাড়ির চাপ নেই, এম্বুলেন্স এবং লাশবাহী গাড়িও ঘাটে অপেক্ষায় নেই। যখন ঘাটে ফেরি না থাকে তখন যাত্রীরা এক যায়গায় জরো হতে থাকে তখন দেখে মনে হয় যাত্রী চাপ। তবে ঘাটে অর্ধশত পন্যবাহী পারাপারে অপেক্ষায় আছে।
এদিয়ে লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এড়িয়ায় মাওয়া খানবাড়ী ও শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এম্বুলেন,পন্যবাহী ও জরুরী প্রয়োজনীয় গাড়ি যেতে দেয়া হচ্ছে।



 

Show all comments
  • শওকত আকবর ১২ জুলাই, ২০২১, ১:০৫ পিএম says : 0
    সর্বাংগে ঘা ঐষধ দেবো কোথা।জীবনের জন্যই জীবিকা।কাজহীন মানুষের বেহাল দশা ।এদের খবর কি কেউ রাখে?কাজ নাই কর্ম নাই টাকা নাই পয়সা নাই চাল নাই ডাল নাই বাসায় গেলে খাবার নাই।বিয়ে সাদী অনুষ্ঠান নাই ডেকোরেটর ব্যাবসীয় কি খাবে?জানা নাই।হাড়ীপাতিল চেয়ার টেবিল বিক্রি করবো কেনার কোন মানুষ নাই।।।এইতো জীবন?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ