Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধার কার্ড ফিরিয়েছে ঘরে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

আধার কার্ডের সৌজন্যে ১০ বছর পর তরুণ হয়ে নিজের ঘরে ফিরেছে হারিয়ে যাওয়া শিশু। ২০১১ সালে নিঁখোজ হয়েছিল ৮ বছরের ওই বালক। অবশেষে ১৮ বছর বয়সে তার পরিবারের খোঁজ মিলল আধার কার্ডের সংযোগ সূত্রেই। ঘটনা যেন হার মানায় গল্পকাহিনিকেও।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা ছেলেটি পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ২০১১ সালে। কিন্তু তার আগেই ছোট ছেলেটির আধার কার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত তরুণের দেখভালের দায়িত্ব ছিল সমর্থ দামলে নামে এক ব্যক্তির উপরে। তিনি একটি অনাথ আশ্রম চালাতেন।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এ বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘ছেলেটিকে স্টেশনে পাওয়া গিয়েছিল। তখন তার ৮ বছর বয়স। পুলিশই আমাদের অনাথ আশ্রমে নিয়ে আসে পরিত্যক্ত বালকটিকে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হওয়ায় ভাল করে কথাও বলতে পারত না সে। কেবল ‘আম্মা, আম্মা’ বলতে পারত। সেই কারণেই ওর নাম রাখা হয় আমন।’

২০১৫ সাল পর্যন্ত ওই অনাথ আশ্রমেই রাখা হয়েছিল আমনকে। কিন্তু তারপর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আবারও অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় কিশোর আমনকে। সমর্থের কথায়, ‘অনাথ আশ্রমটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে আমন ফের বিপদে পড়ে। কে ওকে দেখভাল করবে। অগত্যা আমি ওকে আমার কাছেই এনে রাখি। আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এই ক’বছর ছিল আমন।’
নিজের দুই সন্তানের মতো আমনের শিক্ষার ব্যবস্থাও করেছিলেন সমর্থ। এক স্থানীয় স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পরই ঘটে আসল ঘটনা। নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজন ছিল আমনের আধার নম্বরের। কিন্তু যতবারই সেটা করার চেষ্টা করা হয় বায়োমেট্রিক সমস্যার কারণেই তা ব্যাহত হতে থাকে।

শেষে নাগপুরের ইউআইডিএআই অফিসে যান সমর্থ। উদ্দেশ্য, এবিষয়ে যদি কোনও সাহায্য পাওয়া যায়। তখনই বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, আমনের নাম ইতোমধ্যেই নথিভুক্ত রয়েছে সেখানে। আর সেখান থেকেই জানা যায় তার আসল নাম মোহাম্মদ আমির। খোঁজ মেলে তার পরিবারের।
আমন ওরফে আমিরের বাবা-মা খাবারের স্টলের ব্যবসা করেন। হারিয়ে যাওয়া ছেলের খবর পেয়ে দ্রুত তারা নাগপুরে গিয়ে হাজির হন। গত ৩০ জুন বাবা-মার কাছে ফিরে গেছে ওই তরুণ। এতদিন তাকে কাছে রেখে মায়া পড়ে গিয়েছিল সমর্থ ও তার পরিবারের। তবুও শেষ পর্যন্ত সে যে তার আসল অভিভাবকদের কাছে ফিরতে পেরেছে তাতেই খুশি তারা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ