পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে নির্বিঘ্ন কোরবানির পরিবেশ তৈরির আহবান জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি এ আহবান জানানো হয়। বিবৃতিতে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, কোরবানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এবং আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহায় সামর্থবান মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি দেন। ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে দেশে তিনটি ঈদের নামাজ পালিত হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, সামাজিক দূরত্ব মেনে সুশৃঙ্খলভাবে এবারও মুসলমানরা ঈদ-উল- আযহার নামাজ আদায় করবেন। আমরা মনে করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বিঘ্ন কোরবানি পালনের পরিবেশ তৈরি করলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে না।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ইসলামী শরীয়তে ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত তিন দিন পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাড়া, মহল্লা ও জোন ভাগ করে পশু কোরবানির উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা না করেই তা সম্পূর্ণভাবে পালন করাও সম্ভব। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা বছর ব্যবসায়ী ও খামারিরা বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে কোরবানির পশুকে প্রস্তুত করেন। তাই কোরবানির আগ মুহূর্তে কোরবানির পশু বিক্রির যথাযথ পরিবেশ তৈরি না হলে দেশের খামারি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লোকসানের মুখোমুখি হবেন। এছাড়া ঈদের বাজারে কোরবানির পশু বেচাকেনা কম হলে দেশের অর্থনীতিতে এর বিরাট প্রভাব পড়বে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা নির্বিঘ্নে কোরবানির পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দেশবাসীকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং করোনা মহামারি থেকে মুক্তিলাভের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে দোয়া করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইসলামী ঐক্যজোট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।