মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চোখের সামনেই হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসি হত্যাকাণ্ডের বিভীষিকাময় সেই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন হামলায় গুরুতর আহত ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোইসি। গতকাল শনিবার এক টুইটে অডিও বার্তায় ওই ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৭ জুন হাইতির প্রেসিডেন্টের বাড়িতে হামলায় আহত হন ফার্স্টলেডি মার্টিন মোইসি। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও মিয়ামি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে ধরপাকড় চলছে দেশজুড়ে।
হাসপাতাল থেকেই তিনি সেদিন কী ঘটেছিল জানিয়েছেন বিশ্বকে। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখেন মার্টিন মোইসি। বলেন, ‘হামলাকারীরা মুহূর্তের মধ্যেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমার স্বামীকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যা করে।’
‘একজন প্রেসিডেন্টকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ওরা। তাকে কোন কথা বলার সুযোগটুকুও দেয়া হয়নি।’ হামলাকারীরা প্রেসিডেন্টের স্বপ্নকে হত্যা করতে চায় বলেও জানান তিনি।
মার্টিন মোইসি আরও বলেন, আমি কান্নকাটি করছি এটা সত্য। তবে আমরা তার পথ ভুলে যেতে পারি না। আমার স্বামী, আমাদের প্রেসিডেন্টকে আমরা অনেক বেশি ভালোবাসি। তার রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না।
জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডে ২৮ জন ভাড়াটে ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইতির পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার। আর ২ জন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।
হাইতির পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক দলের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩ জন পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আরও ৮ জন পলাতক।
অবশ্য জোভেনেল মইসি হত্যার নির্দেশদাতা কে, আর হত্যার উদ্দেশ্যই-বা কী, তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।
নিরাপত্তার পাশাপাশি তদন্তসংক্রান্ত কাজে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে হাইতি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, হত্যার তদন্তে এফবিআইয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের শিগগির হাইতিতে পাঠানো হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র হাইতিতে সেনা পাঠাবে কি না, তা নিশ্চিত করেনি।
এদিকে জাতিসংঘের কাছেও সেনাসহায়তা চেয়েছে হাইতি। এ বিষয়ে সংস্থাটি কোনো মন্তব্য করেনি।
জোভেনেল মইসি ২০১৭ সাল থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর পদত্যাগ দাবি করে দেশটিতে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়। জোভেনেল মইসি নিহত হওয়ায় হাইতির সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।