পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে। হাটের চারদিকেই কর্মব্যস্ততা। হাটের একপাশে বাঁশ আর ত্রিপল দিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করা হয়েছে। এর নিচে গরু বাঁধার জন্য পোঁতা হয়েছে সারি সারি বাঁশের খুঁটি। কিছু হাটে গরুও নিয়ে আসা হয়েছে। পাশেই মজুত করা হয়েছে পশুর খাদ্য খড় ও ভুসি। আলোকসজ্জাসহ পশুর হাটের প্রস্তুতি নিয়ে ডেকোরেটর কর্মীরা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। পশুর হাটটির ইজারাদার বা পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্তরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এর মধ্যেই ট্রাকে করে কোরবানির জন্য গরু নিয়ে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন ব্যাপারীরা। খড়ের গাদা বিছিয়ে ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে গরু। এদিকে রাজধানীর খামারগুলো ইতোমধ্যে কোরবানির পশুতে ভরপুর। ঢাকার বাইরে থেকে ব্যাপারীরা গরু ছাগল নিয়ে আসছেন খামারগুলোতে। খামারে বিদেশ থেকে উঠ, বিদেশী গরু, দুম্বা, বিদেশী ছাগল আমদানি করে আনা হয়েছে কোরবানির জন্য। এরই মধ্যে খামারগুলোতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। খামারগুলোর নিজস্ব পালিত গরু, ছাগল প্রায় ৭০ শতাংশ এরই মধ্যে বিক্রিও হয়ে গেছে। তবে ক্রেতারা পশুগুলো খামারেই রেখে দিয়েছেন। ঈদের একদিন আগে খামার থেকে ক্রেতাদের বাসায় পশু পৌঁছে দেয়া হবে।
গতকাল সরেজমিনে রাজধানীর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির খেলার মাঠে দেখা যায়, সারি সারি বাশ পুতে রাখা হয়েছে। ব্যাপারী ও হাটের কর্মচারীরা থাকার জন্য ত্রিপল দিয়ে আচ্ছাদনও তৈরী করেছেন। পশুর খাবার রাখার স্থানও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখার ব্যাবস্থা করেছেন।
দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় হাটের প্রস্তুতি চলছে। শনির আখরায় বাশ পুতে গরু ছাগল রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই হাটে কিছু গরু ও ছাগল উঠেছে। এছাড়া এই এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে ১০টি, ২০টি করে গুরু নিয়ে এসে বিক্রির জন্য বাড়ির সামনের জায়গায় বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা যায়, নিয়মিত যে গরু, ছাগলগুলো আসে এর চেয়ে বেশি পশু এখনো আসা শুরু হয়নি। ব্যাপারীরা বলছেন, ১৪ জুলাই থেকে তাদের পশু আসা শুরু হবে।
উত্তরা ১৭ নং সেক্টরের হাটের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। সারি সারি বাশ পুতে তৈরী করা হয়েছে পশু রাখার স্থান।
এছাড়াও রাজধানীর অন্যান্য কোরবানির হাটগুলোতে চলছে প্রস্তুতি। এবার সারুলিয়ার স্থায়ী হাট ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটির যে ১০টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই,এফ,জি এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা। গোলাপবাগের ডিএসসিসি মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধুপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা ও রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা। ডিএসসিসি তিনটি হাট বাতিল করেছে, সেগুলো হল- লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা।
অন্যদিকে গাবতলী ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটির যে পাঁচ স্থানে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হল- বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক-ই-সেকশন ৩ এর খালি জায়গা, কাওলা শিয়াল ডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা ও উত্তরখান মৈনারটেক হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা।
হাটের পাশাপাশি রাজধানীর আশে পাশের খামারগুলোতেও অনেক গবাদি পশু উঠেছে। মোহমম্মদপুরের সাদিক এগ্রোতে গিয়ে দেখা যায়, দেশি গরু ছাড়াও বিদেশী গরু, বিদেশী ছাগল, উঠ, দুম্বা আমদানি করা হয়েছে। খামারের ম্যানেজারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের নিজস্ব পালিত গরু ছাগলের ৭০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। বাইরে থেকে ব্যাপারীরা আরো গরু ছাগল নিয়ে আসছেন।
উত্তরার কামারপাড়া বেরিবাধের পাশে গড়ে উঠা খামারের সত্বাধিকারী ইফতাখার হোসেন জুয়েলের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্রেতারা গরু দেখতে আসছেন। অনেকেই গরু কিনে খামারেই রাখছেন কারণ তাদের গরু রাখার জায়গা নেই। আমরা কোরবানির একদিন আগে গরু যার যার ঠিকানায় পৌঁছে দিব। অনেকে অনলাইনে গরু দেখে খামারে এসে পছন্দ করছেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।