Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও করোনার বিস্তার বাড়ছে মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ১০:১১ এএম

চট্টগ্রামে প্রত্যন্ত গ্রামেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সংক্রমণের সাথে বাড়ছে মৃত্যু। নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে চিকিৎসার সুযোগ কম হওয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে গ্রামে। উত্তর চট্টগ্রামে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে হাটহাজারী উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গ্রামের পরিস্থিতিকে তুলনামূলক উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। দ্রুততার সাথে চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে না পারলে পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে মত তাদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আক্রান্ত হওয়ার পরও হাসপাতালে আসতে দেরি করায় এবং নগরীর তুলনায় গ্রামের লোকজন কম ভ্যাকসিন পাওয়ায় সেখানে সংক্রমণের সঙ্গে মৃত্যুহারও বাড়ছে।
২০২০ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ৯ এপ্রিল প্রথম একজন মারা যান। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট ৬৪ হাজার ২৯৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৪৯ হাজার ৭১৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা ১৪ হাজার ৫৮১ জন। এছাড়া করোনায় চট্টগ্রামে মারা গেছেন মোট ৭৫৭ জন। এর মধ্যে নগরীর ৪ ৯০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ২৬৭ জন আছেন। শুক্রবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে হাটহাজারীতে সংক্রমণ ও মৃত্যু এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। হাটহাজারীতে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৬৯ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫৭ জন। রাউজানে ১৭৩০ জন, ফটিকছড়িতে ১৫৬৫ জন, সীতাকুণ্ডে ১৫৫৮ জন, পটিয়ায় ১০৭৫, মীরসরাইতে ৮৯৪, রাঙ্গুনিয়ায় ৮৩৮, বোয়ালখালীতে ৭৭৮, আনোয়ারায় ৬৬৮, বাঁশখালীতে ৬৫৪, চন্দনাইশে ৫৫২, সাতকানিয়ায় ৪৭৮, লোহাগাড়া ৩৬৮, সন্দ্বীপে ২২৭ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ডে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া মৃত্যুহারের ক্ষেত্রেও উত্তর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। সীতাকুণ্ডে ৩৪ জন, রাউজান ও বোয়ালখালীতে ২২ জন করে, ফটিকছড়িতে ২০ জন, পটিয়ায় ২১, সাতকানিয়ায় ১৯, মীরসরাইতে ১৬, রাঙ্গুনিয়ায় ১৪, লোহাগাড়া ১০, আনোয়ারায় ৯, বাঁশখালীতে ও চন্দনাইশে ৮ জন করে, সন্দ্বীপে ৬ জন করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় মারা গেছেন।
উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় আক্রান্তের হার গত ১৫ জুনের পর থেকে বাড়তে থাকে। এর ফলে ফটিকছড়ি উপজেলায় ২৩ জুন থেকে আটদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করতে হয় জেলা প্রশাসনকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ