বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুপুর আড়াইটা। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সামনে রোগী নিয়ে দাঁড়ানো দুটি এম্বুলেন্স, তিনটি ইজিবাইক। ৫ জন রোগী অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে এম্বুলেন্সে থাকা দুই রোগীকে শ্বাস নেয়ার জন্য সিলিন্ডারে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। এম্বুলেন্সে থাকা রোগীর স্বজনরা জানালেন, তারা যশোরের নওয়াপাড়া থেকে এসেছেন, রোগী নুরজাহান (৫৪) করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোরে কোথাও ভর্তি করতে না পেরে প্রথমে খুলনার শেখ আবু নাসের হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শয্যা নেই বলে ভর্তি করতে পারেননি। এসেছেন করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। প্রায় দু ঘন্টা অপেক্ষা করছেন। এ হাসপাতালেও ভর্তি করতে পারছেন না অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে বলে। জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে আসা রোগী আবুল কাশেন(৬৪) এর স্বজনেরা জানান, তারা অপেক্ষায় রয়েছেন, কোনো করোনা রোগী মারা গেলে বা সুস্থ হয়ে কোনো রোগী চলে গেলে যদি ভর্তির সুযোগ মেলে, তবেই তাদের রোগী ভর্তি করাতে পারবেন-এমনটাই তাদের হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে।
খুলনার সরকারি-বেসরকারি ৪ টি করোনা হাসপাতালের একই চিত্র। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী রয়েছে হাসপাতাল গুলোতে। অক্সিজেন সংকট, শয্যা সংকট, চিকিৎসক সংকট-সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা করোনা ও উপসর্গের রোগীরা।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা.. সুহাস রঞ্জন জানান, আজ শুক্রবার ১৩০ শয্যার এ হাসপাতালে ভর্তি রোগী রয়েছেন ১৮৫ জন। রেডজোন অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার রোগী রয়েছেন ১২৬ জন। ৪৫ শয্যায় শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ৪৫ টি শয্যাতেই রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানান হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ। বর্তমানে ১০ জন রোগী আইসিইউ তে রয়েছেন।
৮০ শয্যার খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. রাশেদ জানান, আজ সকালে ৭১ জন রোগী ছিলেন। বিকালের মধ্যে সব শয্যায় রোগী ভর্তি হয়ে যাবে। গাজী মেডিকেল কলেজের সত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, তার হাসপাতালে ১২৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আইসিইউ তে রয়েছেন ৮ জন। মাত্র কয়েকটি শয্যা খালি রয়েছে। যা যে কোন সময় ভরে যাবে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ আজ শুক্রবার দুপুরে ইনকিলাবকে জানান, খুলনায় করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল গুলোতে শয্যা সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। চেষ্টা চলছে শয্যা বাড়ানোর। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে আরো ১১৫ টি শয্যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।