পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কঠোর লকডাউনের মধ্যে বগুড়া ও নওগাঁর কয়েকটি স্থানে চলছে কোরবানি পশুর হাট। জনাকীর্ণ এ হাট গুলোতে স্বাস্থ্যবিধির ধার ধারছেন না কেও। বগুড়ার মহাস্থান হাট, দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপেরহাট ও নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটে সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম থাকে। এসব হাটে করোনা ছড়ানোর ভয়ঙ্কর আশঙ্কা থাকলেও প্রশাসন নীরব ভ‚মিকা পালন করছে। আবার কিছুস্থানে চলে প্রশাসন ও জনগণের চোর পুলিশ খেলা।
বগুড়া ব্যুরো জানায় : করোনার অন্যতম হটস্পট বগুড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলা হাটগুলোতে গিজগিজ করছে লোকের ভিড়। বগুড়ায় গত বুধবার সকাল থেকে প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত বগুড়ার মহাস্থান হাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। বিষয়টি অনেকেই শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তিনি কোন পদক্ষেপই নেননি ।
অন্যদিকে, গতাকল বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপেরহাটে শুরু হয়েছে পশু কেনাবেচা। এই হাটটি বগুড়া, জয়পুরহাট এবং নওগাঁ জেলার ২৫টি উপজেলার ক্রেতা বিক্রেতার আগমন হয়ে থাকে। সাধারণ সময়েই বিখ্যাত এই গরু, মহিষের হাটে লক্ষাধিক ক্রেতা বিক্রেতার আগমন হয়ে থাকে। কোরবানির সময় এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়।
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলেও তারা এ ব্যাপারে নীরব ভ‚মিকা পালন করছেন। তবে হাটের ইজারাদার আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রত্যেক ক্রেতাবিক্রেতা বাধ্যতামূলভাবে হাটে মাস্ক পরে এসেছেন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ হচ্ছে না।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান : নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটে কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে বসেছিল সাপ্তাহিক পশুর হাট। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। ইতোমধ্যেই উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার শতকরা ৭০শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহের বুধবার বিকেলে একদিন করে আবাদপুকুর হাটে পশুর হাট বসে। সেখানে নওগাঁসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলা থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমানে সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বুধবার বিকেলে আবাদপুকুর পশুর হাটে হাজারো মানুষের সমাগম হয়। হাটে আসা বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন ইউএনও। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। হাট ফাঁকা হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, আমরা যখন দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে কঠোর লকডাউনকে সফল করার লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছি এমন সময় নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশুর হাট বসানো শোভনীয় নয়। সরকারের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নির্দেশনা অমান্য করায় আবাদপুকুর হাটের ইজারাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমন অভিযান কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে অব্যাহত রাখা হবে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।