Inqilab Logo

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জীবন রক্ষায় নতুন ওষুধের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো এখনো এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’-এর তালিকায় রাখা হয়নি। তবে এই ভ্যারিয়েন্টকে ডেল্টার মতোই সংক্রামক হয়ে উঠতে দেখা গেছে পেরুসহ দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আপাতত এই ধরনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’-এর পর্যায়ে রেখেছে। সম্প্রতি পেরুর ৮১ শতাংশ করোনা রোগীদের দেহে করোনার ‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ পাওয়া গেয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার আরেকটি দেশ চিলের এক-তৃতীয়াংশ রোগীও এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটি ছয়জন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে ভাইরাসের এই ধরনটিকেই সংক্রমণের মূল কারণ হয়ে উঠতে দেখা গেছে। এছাড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশ যখন লড়াই করছে, তখন এর চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু নতুন একটি ওষুধ সুপারিশ করেছে। করোনায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত রোগীদের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে এ ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে তারা। এর নাম ইন্টারলিউকিন-৬। বিশ্বজুড়ে এখনও করোনা মহামারি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এই রোগের কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে ইন্টারলিউকিন-৬’কে সুপরিশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, কর্টিকোস্টেরয়েডের পাশাপাশি যখন ইন্টারলিউকিন-৬ ব্যবহার করা হয় তখন এটি ভাল কাজ করে। উল্লেখ্য, কর্টিকোস্টেরয়েড ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোভিড-১৯ এর মারাত্মক ও গুরুত্বর আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে যেসব পরিবার ভয়াবহ দুর্ভোগে আছে, তাদেরকে এই ওষুধগুলো আশা জাগিয়ে দেখাবে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওভাররিঅ্যাকশন থেকে অনেক সময় রোগীরা মারাত্মক দুর্ভোগে ভোগেন। সেক্ষেত্রে ইন্টারলিউকিন-৬ (যার মধ্যে আছে টোসিলিজুমাব এবং সারিলুমাব) এই অতিমাত্রায় ওভাররিঅ্যাকশন বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে বন্ধ করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই ওষুধটি মারাত্মক অসুস্থ রোগীদের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে আক্রান্ত এক হাজার রোগীর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ এর নিচে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন এমন রোগীদের ওপর ইন্টারলিউকিন-৬ এর পরীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ এরও কম। এই ওষুধগুলো মারাত্মক ও আশঙ্কাজনক রোগী, যারা ভেন্টিলেটরে রয়েছেন, তাদের ওপর প্রয়োগ করায় তাদের মৃত্যুর হার কমিয়ে দেয় শতকরা ২৮ ভাগ। আল-জাজিরা লিখেছে, এরই মধ্যে করোনার টিকা দরিদ্র দেশগুলোর হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য টিকার প্যাটেন্ট সুরক্ষা প্রত্যাহার দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওষুধের ক্ষেত্রে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ব্যারিয়ার্স’ প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়েছে। এবিপি, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ