বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারের মন্ত্রীপরিষদের বিধিনিষেধকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে কিস্তি আদায় করছেন বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক অফিস হরষপুর শাখা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে হরষপুর ব্র্যাক অফিস লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ব্র্যাকের মাঠ কর্মীদেরকে বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে সদস্যেদের নিকট থেকে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তাররোধ কল্পে গত ১ জুলাই থেকে মন্ত্রীপরিষদ থেকে ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ব্র্যাক অফিস চলছে আগের নিয়মেই। বর্তমানে ঋণ বিতরণ না করলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায় করছেন নিয়মিত।
লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ব্র্যাকের মাঠ কর্মীরা কিস্তি আদায়ে সদস্যেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাপ প্রয়োগ করে কিস্তি আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ব্র্যাক কর্মীদের চাপে পড়ে কিস্তি দিতে বাধ্য সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্র্যাকের ঋণগ্রহিতা জানান, বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে কিস্তি নিচ্ছেন স্যাররা( ব্র্যাক কর্মীরা)। আপনি (সাংবাদিক) আমরার নাম লিখবেন না। আমরা নাম লিখলে স্যাররা( ব্র্যাক কর্মীরা) পরে আমাদেরকে আবার ঋণ দিবেন না।
হরষপুর ঋষিপাড়া ব্র্যাকের একাধিক সদস্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। এরই মধ্যে একজন নারী বলেন, আমার স্বামী চট্টগ্রাম থাকতেন। তাই এখন করোনার কারণে বাড়িতে চলে আইছে। রোজি রোজগার একদমই নাই। তবু ব্র্যাকের স্যাররা কিস্তির জন্য এসে বাড়িতে বসে থাকেন। কিস্তি না দেয়া পর্যন্ত তারা যায় না।
হরষপুর গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা মুচির কাজ করেন এমন একজন সদস্য জানান, কঠোর লকডাউনের কারণে বাড়িতে চলে আসছি। কোনো কার্জ কর্ম নাই । তিন সন্তান নিয়ে খুবই অভাব অনটনে দিন কাটছে। তারপরও ব্র্যাকের কিস্তির চাপে আছি। কিস্তি না দিলে পরে নাকি আর লোন দিবেন না। তাই পাশের বাড়ি থেকে হাওলাত করে ব্র্যাকের কিস্তি দিয়েছি। আমরা তো গরিব মানুষ সব কষ্ট আমাদেরই।
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার মো. খলিলুর রহমান বলেন,কর্মিরা এলাকার লোকজনের খোঁজখবর নিতে পারে তবে কিস্তি আদায় টোটাইলি বন্ধ। যদি কেউ অতিউৎসাহী হয়ে কিছু করে তাহলে তা আমার নলেজে নাই।
ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক বিভাস কিশোর এর নিকট কিস্তি আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্র্যাক অনেক বড় প্রতিষ্ঠান আপনি(সাংবাদিক) জানেন। সরকারি প্রজ্ঞাপনকে শতভাগ ফলো করি। আমাদের সকল অফিস বন্ধ। কিস্তি ও লেনদেন টোটাইলি বন্ধ। দাাবি ও প্রগতির লোকজন মাঠে কাজ করবে না। তবে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন স্বাস্থ্য বিষয়ে মাঠে কাজ করছেন। যদি কেউ কিস্তি আদায় করে থাকেন তাহলে অফিসিয়ালি ভাবে আমি ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।