রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম পিতা মারা গেছেন ৬ মাস আগে। জমিজমা বলতে তেমন কিছুই নেই। শুধুমাত্র রয়েছে ছোট্ট একটু বসতভিটা। মা এবং ছোট ভাইকে নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে সংসার চলছে। মেধাবী ছাত্র হলেও পড়ালেখা চালিয়ে যাবার সামর্থ্য নেই। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে মরণব্যাধী ক্যান্সার। সেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এখন বাড়ীতে বসে ধুকছে আসাদুল হক দুরন্ত (১৪) নামের এই কিশোরটি। ফরিদপুর জেলা শহরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিন খাঁর হাটের লোকমান মুন্সীর ডাংগী গ্রামে বসবাস আসাদুল হক দুরন্তর। বাবা-মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল তাদের দিনগুলি। কিন্তু হঠাৎ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা ফয়েজ আহমেদ মারা যান। দুচোখে অন্ধকার নেমে আসে পরিবারটির উপর। স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যায় দুরন্ত। পড়ালেখা করে বড় অফিসার হয়ে মা-ভাইয়ের দুঃখ ঘোচানোর পণ করে সে। কিন্তু ছোট্ট এ ছেলেটির সেই স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মরণব্যাধী ক্যান্সার। চরমাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র দুরন্তর মাস দুয়েক আগে হাতের কুচকিতে ঘাঁ হয়। করা হয় অপারেশন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষতস্থানটি না শুকানোয় চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন বেশকিছু পরীক্ষার। ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে পরীক্ষার পর জানা যায় দুরন্ত মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত। পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার গ্রীনলাইফ হাসপাতালে বেশকিছুদিন চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। ধারদেনা করে চলে চিকিৎসা। কিন্তু টাকার অভাবে আর চিকিৎসা চালাতে পারেনি তার মা আছিয়া বেগম। ফলে দুরন্তকে ফিরিয়ে আনা হয় বাড়ীতে। বর্তমানে বাড়ীতেই রয়েছে দুরন্ত। নেই কোন চিকিৎসা। চিকিৎসা হবেই বা কি দিয়ে, সংসারইতো চলছে না তাদের। দুরন্তর এমন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে মা আছিয়া বেগম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, স্বামী হারাবার পর এখন চোখের সামনে ছেলেটা মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছে। মা হিসাবে আমি কিছুই করতে পারছি না। সমাজের এমন কি কেউ নেই যাদের একটু সাহায্যে বেঁেচ যাবে আমার ছেলেটা। একজন অসহায় মা হিসাবে আমি সবার কাছে আমার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সাহায্য ভিক্ষা চাচ্ছি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দুরন্তকে বাঁচাতে হলে দরকার কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার। যদিও অসহায় পরিবারের পক্ষে কোনদিনই তা সম্ভব নয়। দুরন্তকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করা হচ্ছে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- ইউসুফ ফকির, সঞ্চয়ী হিসাব নং-১৭৫৩৩, ইসলামী ব্যাংক, ফরিদপুর প্রধান শাখা, ফরিদপুর। মোবাইল নং- ০১৭১৩৫৪৯৬৪৭।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।