মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা করায় ভারতের বিরুদ্ধে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সকে (এফএটিএফ) ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তদন্তের পরে লাহোরের জোহর টাউন বিস্ফোরণে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে ভারত যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তা প্রমাণ প্রমাণিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স এই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি মূল্যায়ন করার পরে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কুরেশি। তিনি বলেন, ‘এফএটিএফ-এর দায়িত্ব কি এই নয় যে, ভারত তার সন্ত্রাসের অর্থায়নের জন্য দায়বদ্ধ? যদি কোনও পদক্ষেপ না নেয়া হয় তবে তা তাদের দ্বৈত মানদণ্ড প্রদর্শন করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ জাতীয় দ্বৈত মানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা পাকিস্তানের অধিকার। যদি এএফএটিএফ সন্ত্রাসবাদে ভারতের অর্থায়নের বিষয়ে কোনও নোটিস না নেয়, তবে বোঝা যাবে যে ফোরামটি একটি রাজনৈতিক ফোরাম, কোনও প্রযুক্তিগত নয়।’
কুরেশি ভয়াবহ জোহর টাউন বিস্ফোরণে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহে তাদের পেশাদারিত্ব প্রদর্শনের জন্য তদন্ত সংস্থা, সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগ, এজেন্সি এবং পাঞ্জাব পুলিশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ এর আগে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন, যেখানে তারা তাদের উদ্বেগ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি সন্ত্রাসের অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বের সামনে প্রমাণ উপস্থাপণ করা হয়েছে।’
কুরেশি জানান, তারা জাতিসংঘ, পি-৫ দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক সম্প্রদায় এবং গণমাধ্যমের কাছে এই তথ্য-প্রমাণ প্রেরণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পূর্বের প্রমাণগুলো যদি তারা গুরুত্ব সহকারে নিতেন, তবে লাহোরের জোহর টাউন ও অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী ঘটনাগুলো ঘটত না।’ কার্যকর আইনীকরণের মাধ্যমে পাকিস্তান মানি-লন্ডারিং ও সন্ত্রাসের অর্থায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও কুরেশি উল্লেখ করেন। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।