বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উখিয়ার বালুখালী থেকে কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তার অপহরণ তিনদিন পর ফিরে আসা ও আবার অপহরণ হওয়ার বিষয়টি রহস্য ঘেরা বলে জানা গেছে। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উখিয়া বালুখালী শাখার ক্যাশ অফিসার হাফেজ হামিদুল হোসেনকে ৩০ জুন অপহরণ করেছিল কেবা কারা। এরপর সন্ত্রাসীরা তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে।
জানা গেছে, তিনদিন ধরে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের ডেরায় আটকে রেখে নির্যাতন করে আসছিল। কক্সবাজারের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বেলাল উদ্দিন জানান, গত ৩০ জুন সকালে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। টেকনাফের কানজরপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে উখিয়ার কুতুপালং বাজারের কর্মস্থল উক্ত ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় আসছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেন। আসার পথে বালুখালী বাজার সংলগ্ন রোহিঙ্গা শিবিরের একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে।
অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেনের চাচা খাইরুল বাশার জানান, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হামিদ হোসেনকে তালহা নামে এক রোহিঙ্গা ফোন করে বালুখালীর পানবাজারে নামতে বলেন। তার কিছুক্ষণ পর থেকে নিখোঁজ হন হামিদ। অভিযোগে বলা হয়েছে বালুখালী থেকে তাকে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে পরিচিত আল ইয়াকিনর সদস্যরা হামিদকে তুলে নিয়েছে।
অপহৃতের চাচা আরো জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের ডেরায় হামিদকে আটকিয়ে মারধর করে এবং তার বাবা খাইরুল আলমের কাছে মোবাইলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে উখিয়া ও টেকনাফ থানাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের ঘটনাটি অবহিত করা হয়।
এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠলে গত শুক্রবার রাতে অপহৃত ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। হামিদ নিজ ঘরে অসুস্থ অবস্থায় বিশ্রামে ছিলেন।
কিন্তু শনিবার রাতে হামিদকে আবারো কেবা কারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানান, গত রাতে তিনটি সিএনজিতে করে গিয়ে পুলিশের কিছু লোক নাকি হামিদকে নিয়ে গেছে।
এবিষয়ে খবর নিতে তিনি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, টেকনাফ থানা, উখিয়া থানা ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যোগাযোগ করে এর কোন সত্যতা পাননি বলে জানান। তারা সবাই হামিদকে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।