Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুরাতন ভারতীয় স্ট্রাটেজি .... উত্তরের নদনদীতে পানির ঢল

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২১, ৪:২৩ পিএম

নভেম্বর ২০২০ থেকে মধ্য এপিল ২০২১ পর্যন্ত টানা খরার পর থেকে শুরু হওয়া লাগাতার বৃষ্টিতে বর্ষা¯œাত উত্তরাঞ্চলের ছোট বড়ো সব নদনদীই এখন পানিতে টইটম্বুর !
উত্তরে পঞ্চগড় থেকে দক্ষিনে সিরাজগঞ্জ,পুর্বে কুড়িগ্রাম থেকে পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ছোট বড় ৫০টির মত নদনদীর প্রত্যেকটির পানিতে ভরপুর অবস্থার জন্য শুধু যে মওশুমি বৃষ্টিই কারন তা’ কিন্তু নয়। আসল কারন বঙ্গপোসগার ও ভারত মহাসাগর সন্নিহিত অঞ্চলে সৃষ্ট একাধিক নি¤œচাপের প্রভাবে লাগাতার বর্ষনে উত্তরপুর্ব ভারতের হিমালয়ের পাদদেশ শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ,আসাম অঞ্চলে অনেক বেশি পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছে এবার।
ভারতীয় মিডিয়ার খবরানুযায়ি রীতিমত বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেখানে। আর খুব সংগত কারনেই ভারত নিজের গরজেই ভাটিতে বাংলাদেশের উত্তরে যেসব পয়েন্ট দিয়ে নদীগুলো প্রবেশ করেছে সেগুলোর বাঁধ, স্পার,ওয়াটার পাস গেটগুলো খুলে দিয়েছে চলতি আষাঢ় মাসের শুরুতেই। এরফলে গলগল করে উজান থেকে ভারতীয় পানির ঢল উত্তরের নদনদীগুলোকে পানিতে ভরিয়ে তুলেছে। একইভাবে বাংলাদেশের মিঠাপানির বিচিত্র সব মাছ প্রবেশ করবে ভারতীয় অংশের নদনদী ও জলাশয়ে। কেননা মাছের প্রকৃতিগত ধর্মই হল বর্ষাকালে ডিম ছাড়া এবং প্রজননের জন্য উজানের দিকে ধাওয়া করা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বগুড়ার ইতিহাস গবেষক আব্দুর রহিম বগরা জানালেন, খরা মওশুমে পানি আটকানো আর বর্ষাকালে তা’ ছেড়ে দেওয়ার ভারতীয় রীতিতো নতুন কিছু নয়। কিন্তু এর বিপরীতে বাংলাদেশের স্ট্রাটেজি কি ? প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেন , পাকিস্তান আমলে তৎকালীন সরকার ফারাক্কা পয়েন্টে পদ্মানদীতে ‘‘ফাঁস জাল’ স্থাপন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল এমন তথ্য শোনা যায়। এর উদ্দেশ্য ছিল যেন প্রজনন মওশুমে ইলিশের ঝাঁক যেন ডিম ছাড়ার জন্য ভারতীয় অংশে যেতে না পারে ।
তার মতে এধরনের কিছু স্ট্রাটেজি ও শক্ত পদক্ষেপের কারণে পাকিস্তান আমলে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করতে পারেনি । উত্তরের অন্যান্য নদনদীতেও বিরত থাকে পানি আটকানোর চিন্তা থেকে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামুলক চালুর কথা বলে ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প চালু সহ ব্রম্ভপুত্র ব্যাতিত প্রায় সব নদনদীর উৎসমুখেই কিছু না কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারত যার খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ