Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাউন্ডারি ওয়াল ধসে পড়ে অরক্ষিত জীবজন্তু

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২১, ১:০৫ পিএম

অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি নামতে গিয়ে ধসে পড়েছে চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাউন্ডারি ওয়াল। প্রবল পানির তুড়ে পার্কের দক্ষিণ-পূর্বাংশের নিরাপত্তা দেয়ালের বিশাল অংশ ধসে পড়েছে। এতে নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে পার্কে থাকা হরিণ, বাঘ ও জেব্রাসহ নানা জাতের প্রাণিকূল।

দেয়ালের পার্শ্ববর্তী বিল থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র পানি স্রোতে নিরাপত্তা দেয়ালটি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সাফারি পার্কের তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

তবে এই সীমানা দেয়াল নির্মানে পুকুর চুরির মত অনিয়ম ও দুর্নিতি হওয়া সামান্য বৃষ্টিতেই এটি ধসে পড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সচেতন মহল।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোরে এ দেয়াল ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও হতাহত হয়নি কেউ। গত বুধবার সকাল থেকেই টানা দুইদিন ধরে দিনরাত থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ফলে বৃষ্টির প্রবল পানির তুড়ে পার্কের দক্ষিণ-পূর্বাংশের নিরাপত্তা দেয়ালের বিশাল অংশ ধসে পড়ে। এতে নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে পার্কে থাকা হরিণ, বাঘ ও জেব্রাসহ নানা জাতের প্রাণিকূল। পার্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দেয়ালের পার্শ্ববর্তী বিল থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র পানি স্রোতে নিরাপত্তা দেয়ালটি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, বৃহস্পতিবার সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ ফোনে বিষয়টি জানানোর পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পার্কের দেয়াল ধ্বসের ঘটনাটি ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া ডাঙ্গারবিল এলাকায়। এখানে যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর কয়েক সনা চাষাবাদ হয়ে আসছে। গতবছরও চাষাবাদ ছিলো। কিন্তু রেল লাইনের রাস্তার কাজ শুরু হবার পর অতিলোভে বিলের মাটি কেটে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। পুরো বিলে অন্তত ৮-১০ ফুট গভীর করে এসব মাটি কাটা হয়েছে। বিলের উপরের অংশ পলি হলেও নিচে শুধু বালু আর বালু। পশ্চিম মাইজপাড়ার আবুল হাসেম সওদাগরের ছেলেরা এসব মাটি বিক্রি করেছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পশ্চিম মাইজপাড়ার মৃত আবুল হাসেম সওদাগরের ছেলে নাজির হোসেন, ছৈয়দ হোসেন ও নজিবুল হোসেন, একই এলাকার মৃত আব্বাস উদ্দিনের ছেলে আবু নাঈম মো. ইকবাল চৌধুরী ওরফে রিপু চৌধুরী এবং মাইজপাড়ার মৃত ইদ্রিস আহমদ চৌধুরীর ছেলে তাজবির জাহান চৌধুরী ওরফে সাকিল চৌধুরীর মালিকানাধীন এসব জমি। আর এসব জমির মাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল এহেছান চৌধুরীর মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।

সাফারি পার্কের তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হলেও সরকারি স্থাপনার পাশ থেকে এভাবে মাটি কাটা কখনো সমীচীন হয়নি। যেকারণে আজ দেয়াল ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, জমির মালিকদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ ধ্বংসের পথ সৃষ্টিকারক হিসেবে অভিযুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দাবির মামলা করা হবে। দেয়াল ভাঙ্গলেও পার্কের ভেতরে থাকা প্রাণিকূল নিরাপদ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ