পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতে এবং দেশজুড়ে টানা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বিশেষত উজানে ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসামে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি দ্রুত বেড়ে গিয়ে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে টানা এক সপ্তাহেরও বেশিদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি বাড়ছেই। পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার ৭৮টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ২২টিতে হ্রাস পায়। ৩টি নদ-নদী ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীর প্রবাহ বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
এরমধ্যে ফেনীর পরশুরামে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে বিপদসীমার ৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কংস নদীর পানি জারিয়াজঞ্জাইলে বিপদসীমার ২ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার নদ-নদীসমূহের ৭৫টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ২২টিতে হ্রাস পায়। মঙ্গলবার ৬১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৩৩টিতে হ্রাস পায়। সোমবার ৫১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৬টি পয়েন্টে হ্রাস পায়। এভাবে গত ক’দিন যাবত প্রধান নদ-নদীসমূহে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে গতকাল পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাসে জানায়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অববাহিকায় প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি দ্রæত বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টি অব্যাহত
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এবং প্রায় দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায়ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত, অনেক স্থানে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। এ সময়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের আগরতলায় ১১৪, শিলচরে ৬৭, ধুবড়িতে ৬৬, গ্যাংটকে ৬২ মিলিমিটারসহ বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে দুর্গাপুরে ২২১, লামায় ১৮৪, চট্টগ্রাম ও নাকুয়াগাঁওয়ে ১৭৫, রামগড়ে ১৪৬, টেকনাফে ১২৯, বান্দরবানে ১২০, চাঁদপুর বাগানে ১১৬, মহেশখোলায় ১০৬, শেরপুর-সিলেট ও নারায়ণহাটে ১০৫, ভৈরববাজারে ৯৫, মৌলভীবাজারে ৯৩, মনু রেলওয়ে ব্রিজে ৯০, কামালগঞ্জে ৮৮, জারিয়াজঞ্জাইল ও দেওয়ানগঞ্জে ৮৫, দক্ষিণবাগ ও কক্সবাজারে ৮৪, ইটাখোলা ও পরশুরামে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পাউবো।
ভারী বর্ষণের সতর্কতা
ভারী বর্ষণের সতর্কতায় গতকাল আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধস বা ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম নগরী ও বিভিন্ন স্থানে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।