বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে টানা অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে মুহুরী নদীর বাঁধের ৩টি স্থান ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ওই এলাকায় বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ফেনী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টির কারণে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ বহন করতে না পেরে নদীর বাঁধের ৩ স্থানে ভেঙে যায়। এর মধ্যে গতকাল দুপুর ২টার দিকে ফুলগাজীর জয়পুর ও ১২টার দিকে দৌলতপুর এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়। এর আগে সকালের দিকে পরশুরামের সাতকুচিয়া এলাকারও একটি স্থানে ভাঙনের দেখা দেয়। এসময় মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। বাঁধ ভেঙে পরশুরামের সাতকুচিয়া ও জয়পুর গ্রাম ফুলগাজীর জয়পুর, কিসমত ঘোনিয়া, সাহাপাড়া, উত্তর দৌলতপুর ও রৈরাগপুরসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে নদীর ভাঙন স্থান মেরামতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তাগাদা দিয়েছেন। আবুল হাসান নামের ফুলগাজী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাজারে পানি উঠতে শুরু করে। মুহূর্তেই বাজারের দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। মালামালের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে বাড়ি ঘরে ছিলেন। খবর পেয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকান খুলে মালামাল সরাতে পারলেও দূর-দুরান্তের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে বিকাল থেকে আস্তে আস্তে পানি নামতে শুরু করেছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান, ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াংকা দত্ত জানান, তার উপজেলায় বেড়িবাঁধের ১টি স্থানে ভাঙনে ২-৪টি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে বলে মনে করেন তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, অতিরিক্ত পানির চাপে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বেড়িবাঁধের ৩ স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়। পানি কমে গেলে বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।