পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এর ব্যর্থতা বা ব্যাত্যয় ঘটলে তার দায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বারোটি দপ্তর/সংস্থা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে যে সকল কর্ম সম্পাদন করবে সে সম্পর্কে সংস্থা প্রধানগণ মন্ত্রণালয়ের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্থাপত্য অধিদপ্তর, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর এবং সরকারী আবাসন পরিদপ্তরের প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো, শহীদ উল্লা খন্দকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়েছেন। গত এক যুগে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল সূচকে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এর অধীন বারোটি দপ্তর/সংস্থার মাধ্যমে এসকল কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে। সুতরাং দপ্তর/সংস্থাসমূহের কাজই হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের কাজ। তাদের সফলতার উপর মন্ত্রণালয়ের সফলতা নির্ভর করে। দপ্তরসমূহ শতভাগ কাজ সম্পাদন করলে মন্ত্রণালয়ের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে প্রতীয়মান হয়। তাই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রতিটি দপ্তর/সংস্থার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এর ব্যর্থতা বা ব্যাত্যয় ঘটলে তার দায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকেই নিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই লক্ষ্য পূরণে সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে থেকে সাধ্যমত ভূমিকা পালন করতে হবে।
সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সফলতা প্রকারান্তরে সরকারের সফলতা। আপনাদের ব্যর্থতা প্রকারান্তরে সরকারের ব্যর্থতা। প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের কোন ব্যর্থতা আমরা দেখতে চাই না। আমরা শতভাগ সফলতার সাথে প্রধানমন্ত্রীর সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে দেখাতে চাই। প্রতিমন্ত্রীর সংস্থা প্রধানদের চুক্তির শর্ত সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আপনাদের সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী আপনাদের পরামর্শেই চুক্তির শর্ত নির্ধারিত হয়েছে। জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। সুতরাং এর ব্যর্থতার দায় অন্য কেউ গ্রহণ করবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।