পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া দাবি করে আইনজীবীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিতেন সরকারি চাকরিজীবীদের দফতর বদলির। আবার নিয়োগের নাম বলেও টাকা নিতেন। অবশেষে সাইবার পুলিশের হাতে ধরা খেলেন প্রধানমন্ত্রীর কথিত এই সহকারী (এপিএস)। গতকাল ভোরে কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। গ্রেফতার হওয়া প্রতারকের নাম গিয়াস উদ্দিন কবির।
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের এডিসি মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল নম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে টাকা দাবি করেন। এছাড়াও চক্রটি কুমিল্লা জেলার অ্যাডভোকেট কামাল হোসেনের কাছ থেকে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্তে নেমে সাইবার পুলিশ জানতে পারে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি ও বদলির নামে টাকা নিতেন ওই প্রতারক। সরকারি কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এসব ফোন পেয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের ভয় দেখাতেন। সামাজিকভাবে মানসম্মানক্ষুন্ন করবে বলে হুমকি দিতেন। অনেকে মানসম্মান রক্ষার ভয়ে টাকা দিয়ে দিতেন। সম্প্রতি এ ঘটনায় পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তের সূত্র ধরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এডিসি নাজমুল বলেন, গ্রেফতার গিয়াস উদ্দিন কবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। দুপুরে তাকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।