রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় হলুদ গে-ারি আর সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজলা নামের নতুন জাতের আখের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাষিরা এ আখ আবাদ করে লাভবান হওয়ায় নতুন করে চাষিরা এ আখ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। বর্তমানে উপজেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে গে-ারি আর কাজলা জাতের আখ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রথমে উপজেলার ঘাষিয়াড়া গ্রামের চাষিরা গে-ারি জাতের আখের চাষ করত। লাভজনক হওয়ায় গত কয়েক বছরে আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে তারাউজিয়াল, মোর্ত্তজাপুর, বাখেরা, টিকেরবিলা, চরচৌগাছি, বরালিদহ সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে এর আবাদ বিস্তার লাভ করেছে। চলতি মৌসুমে প্রায় দুইশত হেক্টর জমিতে গে-ারি ও কাজলা আখের চাষ হয়েছে। এর থেকে চাষিরা দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা উপার্জন করবে বলে আশা করছে। চাষিরা জানায়, ধান-পাটসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় তারা এ আখ চাষে ঝুঁকেছেন। এ আখ নরম মিষ্টি চিবিয়ে খাওয়া সহজ। এ কারণে জনগণের কাছে খুবই প্রিয় খাবার। এ আখকে বলা হয় চিউইং টাইপ সুগারক্যান। চাহিদা থাকায় কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এ আখের আবাদ করে। বর্তমানে এখানকার আখ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা ভ্যান বোঝাই করে কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারিভাবে প্রতি ১০০টি আখের আঁটি দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় কিনে খুচরাভাবে প্রতিটি আখ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করছেন। তবে নতুন জাতের কাজলা আখ দামে সস্তা এবং আকারে বড় হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। আর এ কারণে এই আখের আবাদ বেশি হচ্ছে। এলাকার চাষিরা জানান, অপেক্ষাকৃত উঁচু ও বেলে মাটিতে এ আখের আবাদ ভালো হয়। গত বছর বিঘাপ্রতি জমিতে এ আখের চাষ করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার আখ বিক্রি করেছেন। এবারও ভালো লাভ আশা করছেন। বরালিদহ গ্রামের জনৈক চাষি জানান, পার্শ¦বর্তী ফরিদপুরের মধুখালীতে সুগার মিল থাকায় তারা এক সময় অন্যান্য জাতের আখ চাষ করত। কিন্তু মিলে আখ বিক্রিতে নানান জটিলতা থাকায় ঐ ঝামেলায় না গিয়ে স্বাধীনভাবে এ আখের চাষ করে তারা ভালোই আছেন। ঘাষিয়াড়া গ্রামের এক চাষি ৫ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন। এখান থেকে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার আখ বিক্রি করবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এসব চাষাবাদের তেমন কোনো খবর রাখেনা বলে এলাকার কৃষকরা জানান। তারা কেবলমাত্র জানেন এ আখ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ আন্তরিক হলে জেলার কৃষকরা এ আখ চাষের আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন বলে কৃষকরা মনে করেন। কৃষি বিভাগের উচিৎ কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে না থেকে বাস্তবে কৃষকদের স্বার্থে কাজ করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।