Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মেয়াদের আগেই সবার জন্য টিকার সুযোগ দিচ্ছে জার্মানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ১১:৪৫ পিএম

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই জার্মানির সব ইচ্ছুক মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেবার সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। টিকাদান কর্মসূচি যথেষ্ট গতি পাওয়ায় এবং যথেষ্ট পরিমাণ টিকার সরবরাহের কারণে জুলাই মাসেই সেই প্রতিশ্রুতি পালনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী জুলাই মাসে এক কোটি ৭০ লাখ থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে। অবশিষ্ট সব মানুষের জন্য বায়োনটেক-ফাইজার অথবা মডার্না কোম্পানির এমআরএনএ টিকার ব্যবস্থা করছে জার্মান সরকার। যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ সেই সুযোগ গ্রহণ করলে হেমন্তকালের মধ্যে জার্মানিতে করোনা সংকটের মাত্রা অনেক কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জার্মানিতে ১২ বছরের কম বয়সিদের জন্য টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। করোনা ভাইরাসের চরম ছোঁয়াচে ও বেশি মারাত্মক ডেলটা সংস্করণের কারণে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর তাগিদ বাড়ছে। জার্মানিতে সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে কমে গেলেও আক্রান্তদের মধ্যে ডেলটার অনুপাত বেড়ে চলেছে। করোনা টিকার দুটি ডোজ নেবার ১৪ দিন পর এই ভেরিয়েন্ট থেকে সুরক্ষার মাত্রা যথেষ্ট বেড়ে যায় বলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে। তাই ঠিক সময়ে দ্বিতীয় ডোজ নেবার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জার্মানিতে কিছু মানুষ সেই সুযোগ হাতছাড়া করছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিরোধী সবুজ ও উদারপন্থি দল সরকারের উদ্দেশ্যে টিকার সব ডোজ নিতে উৎসাহ দিতে প্রচার অভিযান ও আকর্ষণীয় উদ্দীপনার প্রস্তাব দিয়েছে। এদিকে ডেলটা সংস্করণের কারণে ইউরোপে করোনা সংক্রমণের হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে ব্রিটেন ও রাশিয়ায় ডেলটা মাথাচাড়া দেওয়ায় সংক্রমণের হার গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে। তবে ফ্রান্স, জার্মানি ও ইটালির মতো দেশে এই হার এখনো কমে চলায় কিছুটা স্বস্তির কারণ রয়েছে। গ্রীষ্মে ভ্রমণ ও পর্যটনের কারণে সেই প্রবণতা কতদিন বজায় থাকবে, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ