Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যেন সোনার খনি, ৪ বছরে শত কোটি টাকার মালিক

‘ঘুষ কেলেঙ্কারি’ : ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন পরিবারের ৮ অ্যাকাউন্ট জব্দ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধব, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে রেখেছেন কোটি কোটি টাকা। তার বেনামী একাউন্টে শত শত কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের বর্তমান পর্যায়ে আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে সাঈদ খোকন এবং তার পরিবার সদস্যের ৮টি একাউন্ট জব্দ করেছে সংস্থাটি।

গতকাল সোমবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস একাউন্ট জব্দের আদেশ দেন। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক জালালউদ্দিন আহমেদ এ আবেদন জানান। দুদক সূত্র জানায়, সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফ ও মা ফাতেমা হানিফের ৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।

জব্দকৃত অ্যাকাউন্টের মধ্যে সাঈদ খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়া তার মা ফাতেমা হানিফের একটি, বোন শাহানা হানিফের দু’টি ও স্ত্রী ফারহানা আলমের দু’টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তার আবেদনে বলেন, ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে যেন অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। আবেদনে জালাল আহমেদ আরও বলেন, অভিযুক্তরা ওই ব্যাংক হিসাবের অর্থ স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছেন যা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত অস্থাবর সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে।

এর আগে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মেয়র থাকাকালে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টির অনুসন্ধানে নেমে তার দুই সহকারি একান্ত সচিবে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারা হলেন এপিএস আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল কুদ্দুস। চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে সাঈদ খোকনের দুর্নীতিতে সহযোগিতা করা ছাড়াও অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো কারবারের সঙ্গে সম্পৃক্তার স্বীকারোক্তি মিলেছে।

চলতি বছর ২১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এপিএস শেখ আব্দুল কুদ্দুসকে। তিনিও সাঈদ খোকনের দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাপক তথ্য দেন। সাঈদ খোকন বিভিন্ন সময় বাল্যবন্ধু ভুট্টো, পরিমল ও অতুলের মাধ্যমে এক্সিম ব্যাংক পল্টন শাখা থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করে নেন। পুরান ঢাকার আলু বাজারের শিট ব্যবসায়ী মো. নাসিমের নামে বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টেও রয়েছে সাঈদ খোকনের কোটি কোটি টাকা। এটিও সাবেক মেয়রেরই বেনামী একাউন্ট। এই একাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন।

এভাবে ২০১৫ সালের ২১ জুন থেকে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে লোক মারফত চার দফা নগদ ও ৪২টি চেকের মাধ্যমে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা তুলে নেয়া হয়। এ অর্থ সাঈদ খোকনেরই বেনামি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হয়।

দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র থাকাকালে সাঈদ খোকন ব্যাপক ভিত্তিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন তিনটি মার্কেটে দোকান নির্মাণের ঠিকাদারি প্রদান, দোকান বরাদ্দ, বিদেশ ভ্রমণসহ নানা সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি করেন। চলতি বছর মার্চ মাসে একজন ব্যবসায়ীর দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উদঘাটিত হয় সাঈদ খোকনের ‘ঘুষ কেলেঙ্কারি’। ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দিলু আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় সাঈদ খোকন কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন-মর্মে উল্লেখ করা হয়।

শত কোটি টাকার মধ্যে অন্তত ৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় ব্যাংকিং চ্যানেলে। কোটি কোটি টাকার চেক, পে-অর্ডারে রূপান্তরের মাধ্যমে বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরে এ অর্থ স্থানান্তর হয়। সাঈদ খোকন তার অনুগত বিশ্বস্ত প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারের মাধ্যমে এই লেনদেন করতেন। বিনিময়ে ইউসুফ আলী সরদারও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

চাকরিচ্যুত এই রাজস্ব কর্মকর্তার ‘সেকেন্ড হোম’ রয়েছে কানাডায়। ইউসুফ আলী সরদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তার স্ত্রী রাশিদা আক্তার (পাসপোর্ট নং-বিকে-০৪৬৪৩৩৩), মেয়ে ইশরাত ইয়াসমিন ইরা (পাসপোর্ট নম্বর বিকে-০৪৬৪৯৬০) বর্তমানে কানাডা প্রবাসী। তাদের বিষয়েও পৃথক অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক।

দেলোয়ার হোসেন দেলু নিজেও সাঈদ খোকনকে ঘুষ দিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি রয়েছে এজাহারে। ঘুষ দিয়েও কাজ না পাওয়ায় তিনি মামলা করতে বাধ্য হন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অর্থের বিনিময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনটি মার্কেটে অবৈধভাবে ৯১১টি দোকান তৈরি করেন দেলোয়ার হোসেন দিলু ও তার সহযোগিরা।

এসব দোকান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্দ দিয়ে অন্তত ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন দিলু নিজেও। এর অন্তত ১০০ কোটি টাকা সাঈদ খোকনের পকেটস্থ হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মার্কেটে অবৈধভাবে নির্মিত দোকান ভাঙার নির্দেশ দিলে বরাদ্দ পাওয়া দোকান মালিকদের চাপের মুখে পড়েন দেলোয়ার। সে থেকে বাঁচতে তিনি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে হাতিয়ে নেয়ার মামলা করেন।

দিলু দাবি করেন, তিনি ১০০ কোটি টাকার বেশি সাঈদ খোকনকে দিয়েছেন। খোকন ২০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে এককালীন ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। দিলুর মালিকানাধীন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের (হৃদি কনস্ট্রাকশন) বিল ছাড় করাতেও সাঈদ খোকনকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন-মর্মে দাবি করেন। ১৩ কোটি টাকার একটি বিল ছাড় করাতে ৪ কোটি টাকা ঘুষ দেয়ারও দৃষ্টান্ত রয়েছে তার।

দুদক সূত্র জানায়, রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত নগর প্লাজা, সিটি সুপার মার্কেট ও জাকির সুপার মার্কেটের মালিক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পর্যায়ক্রমে নির্মাণ শেষে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে দোকানগুলোর পজেশন বিক্রি করা হয়। এর বাইরেও বিভিন্ন প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।

অনুসন্ধানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে, দুদকের উপ-পরিচালক জালালউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি ‘অনুসন্ধানাধীন’ বলে কোনো তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৯ জুন, ২০২১, ২:৩৮ এএম says : 0
    দুদককের কি সাহস আমার সংসদীয় পদ্ধতির সন্তানদের নামে কেইচ,দেখে নিব।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৯ জুন, ২০২১, ২:৫০ এএম says : 0
    আমার সুযোগ্য সন্তান খেকন কে নিয়ে দুদক কি জন্য বাড়া বারি করবে,খাইলে আমার সন্তানেরা খাবে,আমরা সংসদীয় পদ্ধতি করছিইতে খাইতে,সুখে শান্তিতে থাকতে হা হা হাআ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abbas Ahmed ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১১ এএম says : 0
    এই দেশের মানুষগুলো বড্ডো হিংসুটে..... একজন পিয়ন শত কোটি টাকার মালিক হয় তাতে দোষ নাই.... আর জনাব মেয়র শাব মাত্র ১শ কোটি টাকা চুরি করেছেন তাই তাকে চোর বলার ষড়যন্ত হচ্ছে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Abdur Amja ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১২ এএম says : 0
    Its nothing for them .nothing will happened to him
    Total Reply(0) Reply
  • Mohin Uddin Molla ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১২ এএম says : 0
    এই লুটপাট করে কি লাভ আমার মাথায় আসে না? মৃত্যু যখন হয় তখন কি এসব কবরে নিয়ে যাবে? যতো কিছুই করোনা বাপু হিসাব কিন্তু দিতেই হবে। আঠারো কোটি মানুষের সম্পদ খাও তাই-না? আবার এই আঠারো কোটি মানুষের ধারে ধারে ঘুরবে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Akter Fahim ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১২ এএম says : 0
    এদের মত সাদু মানুষের খোঁজ নিলে এমন হাজারো দুর্নীতিবাজ পাওয়া যাবে
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আলীনুর ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১৩ এএম says : 0
    এভাবেই বের হয়ে আসবে একে একে যারা রিটায়ার্ড করবে দল থেকে। তবে যতদিন এক্টিভ ততদিন সমস্যা নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Towhid Chowdhury ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১৩ এএম says : 0
    বর্তমান সরকারের আন্ডারে সরকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত অধিকাংশই চুরির সাথে জড়িত !!
    Total Reply(0) Reply
  • Shehab Rayhan ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১৩ এএম says : 0
    আহারে ভাল মানুষটাকে কি বিপদে ফেললো। সব ষড়যন্ত্র মনে হয় জামায়াত বিএনপির কাজ।
    Total Reply(0) Reply
  • Kawsar Mahmud ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১৪ এএম says : 0
    প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে, এভাব নিজের লোকদের ব্যবহৃত টিস্যু ভেবে ছোরে ফেলে দেয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Sahed Mir ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১৪ এএম says : 0
    চুনো পুঠি আর বোয়াল মাছ এই কথাটা কেনো যে বলতে গেলো? বেচারা ফেঁসে গেলো,
    Total Reply(0) Reply
  • Julfikar Tajul ২৯ জুন, ২০২১, ৪:১৪ এএম says : 1
    নির্বাচনের আগে উনি বনানীর বাসা বিক্রি করে ইনভেস্ট করেছিলেন এখন কি লাভ করবেন না?
    Total Reply(0) Reply
  • S A HOQ ২৯ জুন, ২০২১, ৪:৪৪ এএম says : 0
    League manei to chorer khoni. Shobai pai shonar khoni BBSM pelo chorer khoni. Ageo ekhono. Ora bodlabena eta oder router majhe.
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মাহফুজুল ইসলাম ২৯ জুন, ২০২১, ৭:০১ এএম says : 0
    হানিফ সাহেব সন্মানিত মানুষ ছিলেন,তার ছেলে এমন!!!এখন তো দেখছি সকলই গরল ভেল!!!!!।
    Total Reply(0) Reply
  • taijul+Islam ২৯ জুন, ২০২১, ৮:৪৯ এএম says : 0
    আহারে ভাল মানুষটাকে কি বিপদে ফেললো। সব ষড়যন্ত্র মনে হয় জামায়াত বিএনপির কাজ। চোর চোর ধর...................................
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Aman Ullah Talukder ২৯ জুন, ২০২১, ৯:৪৬ এএম says : 0
    One thief is NOT required as a representative but a practicing Muslim, who fears the Almighty without seeing him. And who believes that one day he must have to stand before the Almighty and accounted for everything what he did in this earth before death.
    Total Reply(0) Reply
  • কামরুল ৩ জুলাই, ২০২১, ৯:৪৫ এএম says : 0
    দু একজনকে ধরে লাভ কি? সবাইকে ধরতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar+Ashraf ৩ জুলাই, ২০২১, ১২:২৬ পিএম says : 0
    দুদককের কাজ কি ? কি লাভ দুদকে ইনভেস্ট করে ?
    Total Reply(0) Reply
  • শাহ্‌ ৪ জুলাই, ২০২১, ৭:২৩ এএম says : 0
    এতদিন দুদক আঙ্গুল চুষছে । আসল ঘটনা সাইদের সাথে তাপশের গুতাগুতি ।
    Total Reply(0) Reply
  • nurul azim Azad ৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০৫ পিএম says : 0
    This is Bangladesh
    Total Reply(0) Reply
  • Dadhack ৫ জুলাই, ২০২১, ১:০৫ পিএম says : 0
    দেশের ........... যখন লুটপাট ছাড়া কিছু বুঝেনা তখন তো সবাই লুটপাট করবে................
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাঈদ খোকন

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ