পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলছে তিন দিনের সীমিত লকডাউন। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সীমিত লকডাউনের প্রথমদিন গতকাল সোমবার রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। তবে গ্রাহক উপস্থিতি কিছুটা কম। ব্যাংকাররা বলছেন, সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। লেনদেনও স্বাভাবিক। তবে টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলনের হার বেশি।
এদিকে লকডাউন আতঙ্কে গত রোববার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলেও একদিনের ব্যবধানে গতকাল ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। পতনের পরের দিনই দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। এই উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালালি খাতের কোম্পানিগুলো।
বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন জানান, স্বাভাবিক দিনের মতোই সোমবার লেনদেন হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো গ্রাহক আসছে। লকডাউনে ব্যাংকিং কার্যক্রমে কী অবস্থা থাকবে। এ বিষয়ে ব্যাংকের লোকাল অফিসের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, লকডাউনের খবরে রোববার ব্যাংকে অনেক ভিড় ছিল। সকাল দিকে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক একটু বেশি ছিল তাও স্বাভাবিক বলা যায়। তিনি বলেন, সীমিত পরিসরে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। গণপরিবহন বন্ধ। যে কারণে অনেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আসেননি।
এদিকে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকলে যেকোনো পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন চলমান থাকবে। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে প্রথম মিনিটের লেনদেনেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ২৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আট পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ১৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক সাত পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের এই উত্থানের দিনে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির। বিপরীতে দাম কমেছে চারটির। আর পাঁচটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টির দাম বেড়েছে এবং তিনটির দাম কমেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে দুইটির দাম। প্রকৌশল খাতের ৪২টির মধ্যে ৩০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে নয়টির এবং তিনটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর বিদ্যুৎ ও জ্বালালি খাতের ২২টির মধ্যে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে তিনটির ও দুইটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে সব খাত মিলে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৩১টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৮টির। আর ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৭৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ডেল্টা লাইফের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৪৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কুইন সাউথ টেক্সটাইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।